পাসপোর্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে প্রজ্ঞাপন জারি
২০ আগস্ট ২০২০ ১৮:২২ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২০ ২১:১৪
ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া পাসপোর্ট অফিসের সব স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পাসপোর্ট অধিদফতর। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মেনেই এই কার্যক্রম চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবাই সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি, কয়েকদিন পরেই পাসপোর্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করা হবে।’
এর আগে বুধবার (১৯ আগস্ট) পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও পরিদর্শন) মো. সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত পাসপোর্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালুর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে কবে নাগাদ চালু করা হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এবং পরিস্থিতি উন্নয়নে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত পরিসরে এমআরপি ও ই-পাসপোর্টের (নতুন ও রি-ইস্যু) আবেদন গ্রহণ ও প্রদান করা হবে। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।
প্রজ্ঞাপনের পর কবে চালু হবে পাসপোর্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম জানতে চাইলে সাইদুর রহমান বলেন, ‘আগামী মাসের শুরু থেকে নতুন আবেদন গ্রহণ করা হবে। আর রি-ইস্যু আবেদন তো নেওয়াই হচ্ছে।’
পাসপোর্টের একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সারাবাংলাকে বলেন, ‘সবকিছু শুরু হবে তবে একদিনে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক আবেদন গ্রহণ করা হবে। এর বেশি নয়। অনেকদিন পর কার্যক্রম চালু হওয়ায় লোকজন একেবারেই হুমরি খেয়ে পড়তে পারে। সেজন্য এমন চিন্তা করা হচ্ছে।’
পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়, গত ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর ২০ মার্চ পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ ও বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর রি-ইস্যু কার্যক্রম ধীর গতিতে চললেও ডেলিভারিতে ভোগান্তি বাড়ে। নির্দিষ্ট সময়ের দ্বিগুণ-তিনগুণ সময় পার হলেও অনেকে পাসপোর্ট ডেলিভারি পায়নি। এ সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রমও বন্ধ থাকে। ফলে গত পাঁচ-ছয় মাসে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বন্ধের শুরুর দিকে হজে যেতে ইচ্ছুকদের স্পেশাল সার্ভিস দেওয়া হলেও সৌদি সরকার হজ বন্ধ ঘোষণা করলে সেই চাপও আর থাকে না।
আগারগাঁও পাসপোর্ট অধিদফতরের এক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত পাঁচ-ছয় মাসে করোনাকালীন সময়ে পাসপোর্ট অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিফট করে করে ডিউটি করেছে। এক দল দুই দিন দায়িত্ব পালন করে পরের দুই দিন কোয়ারেনটাইনে কাটিয়েছেন। ফলে সব ধরনের কার্যক্রমে ভাটা পড়ে।’