‘বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হওয়া উচিত’
২০ আগস্ট ২০২০ ১৬:৩৮ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২০ ১৮:৩০
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বুধবার (১৯ আগস্ট) কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৭তম অনলাইন সভায় এমন পরামর্শ দেন কমিটির সদস্যরা। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার পক্ষে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে হওয়া উচিত। বিশ্বের যেসব দেশ (যেমন: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, রাশিয়া) ভ্যাকসিনের গবেষণায় এগিয়ে আছে, তারা তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অন্যান্য দেশও অংশগ্রহণ করছে। যেমন: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ব্রাজিল ও ভারতে হচ্ছে। চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, চিলি, ফিলিপিন ও তুরস্কে হচ্ছে।
বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হলে প্রথমত বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়বে ও তা প্রমাণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া এই ভ্যাকসিন সফল প্রমাণিত হলে প্রথম বাংলাদেশের পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে কী পরিমাণ ভ্যাকসিনের প্রয়োজন এবং তা সংগ্রহে কত খরচ হবে কিংবা বিনামূল্যে পাওয়া যাবে কি না এ ব্যাপারে এখনই হিসাব করা প্রয়োজন। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জ পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন বা ক্রয় করার প্রস্তুতি থাকতে হবে। ভ্যাকসিন প্রাপ্তির পরে এর সংরক্ষণ, বিতরণ, লোকবল, সরঞ্জামসহ সব পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা এখনই ঠিক করে রাখা উচিত।
টিকা আন্তর্জাতিক বাজারে এসে গেলে তা কীভাবে প্রথমেই বাংলাদেশে নিয়ে আসা যায় তার বিস্তারিত পরিকল্পনা এখনই করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
কমিটির প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান বা দেশ টিকার ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে আছে তাদের সঙ্গে এখন থেকেই যোগাযোগ করা উচিত; যেন টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি পাওয়া মাত্রই বাংলাদেশ তা পেতে পারে।
সাধারণত প্রথম ব্যবহারযোগ্য ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমেই বিতরণ করা হয়। একটি নির্দিষ্ট মাথাপিছু আয়ের নিচে থাকা দেশগুলোকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিনামূল্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভ্যাকসিন দিয়ে থাকে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করা হবে, যা সময় সাপেক্ষ। দ্রুত ব্যবস্থার মাধ্যমে টিকা সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কিংবা সে দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি এবং প্রয়োজনীয় অগ্রিম অর্থ প্রদান করার প্রয়োজন হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
করোনা ভ্যাকসিন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি টপ নিউজ ট্রায়াল বাংলাদেশ মত