Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কওমি মাদরাসা খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই


১৭ আগস্ট ২০২০ ১৭:৩০ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২০ ১৭:৪০

ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে বন্ধ থাকা দেশের কওমি মাদরাসাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়ার বিষয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে কওমি মাদরাসা বোর্ডের নেতাদের বৈঠক শেষে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর মাদরাসা খুলে দেওয়ার একটি আবেদনও জমা দেন।

সোমবার (১৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে কওমি মাদরাসা বোর্ডের নেতাদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সহসভাপতি ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ ও মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, বোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলীসহ কওমি আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়াল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিগগিরই দেশের সব কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কওমি মাদরাসার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি, অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কওমি নেতারা। এসময় জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহসভাপতি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের সঙ্গে কওমি মাদরাসা, বিশেষ করে কওমি মাদরাসার কিতাব বিভাগের কার্যক্রম চালু করার অনুমতি চেয়ে অনুরোধ করেছি। সচিব আমাদের আশ্বস্ত করেছেন— এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অল্প সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কোরআন-হাদিস চর্চার কেন্দ্রস্থল কওমি মাদরাসাগুলো পরিচালনা করতে চাই। আগস্টের শেষ দিকেই কওমি মাদরাসার সব শ্রেণির পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে।

ইয়াহইয়া মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে কওমি মাদরাসাগুলো বন্ধ ছিল। মাদরাসাগুলো খোলার ব্যাপারে জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা বোর্ডের পক্ষ থেকে আমরা গত ২ জুলাই আবেদন করেছিলাম। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আমাদের জানান, ১২ জুলাই থেকে হিফজ বিভাগ চালু হবে। ওই আবেদনের কিতাব বিভাগও চালুর অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিতাব বিভাগ চালুর অনুমতি না পাওয়ায় আমরা আবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছি।

দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের এই নেতা আরও বলেন, কওমি মাদরাসার কিতাব বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পাশাপাশি আমাদের মাস্টার্স ও ডিগ্রি মানের পরীক্ষা এবং মাদাসার ঘরোয়া পরীক্ষা— এই তিনটি পরীক্ষা আমরা আয়োজন কতে পারিনি। এই পরীক্ষাগুলো যেন আমরা স্বল্প সময়ের মধ্যে আয়োজন করতে পারি, সে বিষয়টি আবেদনে উল্লেখ করেছি।

সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, আলিয়া মাদরাসার পরীক্ষার, কামেল পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। সে সিদ্ধান্ত সম্ভবত আসছে। সেক্ষেত্রে বরং কওমি মাদরাসায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি সহজ। কারণ আমাদের ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থীই আবাসিক। একবার যারা আসে, তারা আর সহজে বের হয় না।

কওমি মাদরাসা খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জাতীয় দ্বীনি শিক্ষা বোর্ড টপ নিউজ মন্ত্রিপরিষদ সচিব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর