সুপ্রিমকোর্টের এফিডেভিট শাখায় অভিযান, আটক ৪৩
১৬ আগস্ট ২০২০ ১৪:৫৮ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২০ ১৮:১১
ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় অভিযান চালিয়ে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে ৪৩ ক্লার্ক ও আইনজীবীর সহকারীকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন না করে অন্য কার্যক্রমে ব্যস্ততা দেখানোয় ৪৩ জনকে আটক করা হয়। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ অফিসার মুর্শেদুল হাসানকে তার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, বেঞ্চ অফিসার মু. মুর্শেদুল হাসানকে তার বিরুদ্ধে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমতে চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
৪৩ জনের আটকের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল এসে মুচলেকার মাধ্যমে তাদের ছাড়িয়ে নেন। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না বলেও সতর্ক করে দেন তাদেরকে।
সুপিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মশিউর রহমান জানান, আদালতঙ্গণে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা সোচ্চার হয়ে উঠেছে। আমরা বারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেছিলাম। আজ আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ২ নম্বর প্রশাসনিক ভবনে একটি ঝটিকা অভিযান পারিচালিত হয় এবং প্রাথমিকভাবে সেখানে ৪৩ ক্লার্ক ও আইনজীবীর সহকারীকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, ৪৩ জনকে আটকের পর বার নেতৃবৃন্দদের খবর পাঠানো হলে বারের সম্পাদকসহ আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এরপর জানতে পারি, আটক ব্যক্তিরা নিজ শাখায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালন না করে অন্য কার্যক্রমে ব্যস্ত রয়েছেন বলে তাদের আটক করা হয়েছে। সেখানে অভিযুক্তদের নাম, ঠিকানা সংগ্রহ শেষে তাদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সুপ্রিমকোর্টের এফিডেভিড শাখাসহ বিভিন্ন শাখায় দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ প্রধান বিচারপতির কাছেও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবেন বলেও তিনি জানান।