পুলিশ সুপার বেলায়েতের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা ব্যবসায়ীর
১২ আগস্ট ২০২০ ১৫:১৬ | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২০ ১৬:৫০
ঢাকা: রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে একজন ব্যবসায়ী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১২ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দিদার হোসাইনের আদালতে মো. গোলাম মোস্তফা (আদর) নামে একজন ব্যবসায়ী মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সালাহউদ্দিন সারাবাংলাকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করতে বলেছেন। একইসঙ্গে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর অফিসে দুই বছর আগে বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফার। এরপর তাদের মাঝে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুবাদে আদরের বাবা গোলাম মোহাম্মদের কাছ থেকে বেলায়েত হোসেন বাড়ির জমি রেজিস্ট্রি করতে ২০১৯ সালের ১১ আগস্ট ৫ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওই টাকা ফেরত দিতে বেলায়েত গত ১৫ মার্চ চেক দিলে গোলাম মোস্তফা চেকটি জমা দিয়ে টাকা তুলে নেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ৪ এপ্রিল বেলায়েত হোসেন বাদী গোলাম মোস্তফার বাবার কাছে একজন লোক পাঠান। তিনি নিজেকে ডিবির অফিসার পরিচয় দেন। একইসঙ্গে বেলায়েত নিজেও ফোন দেন গোলাম মোস্তফার বাবা গোলাম মোহাম্মদকে। বলেন, ৫ লাখ টাকা না দিলে তার ছেলের অসুবিধা হবে। পরে গোলাম মোহাম্মদ ৫ লাখ টাকার একটি চেক বেলায়েত হোসেনের নামে দেন। ১০ এপ্রিল গোলাম মোস্তফা বিষয়টি জানতে পেরে ব্যাংকে ফোন দিয়ে ওই চেক পাস না করতে বলে দেন।
গোলাম মোস্তফার অভিযোগ, গত ৮ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে ১৫/১৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। তারা ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো এবং গোলাম মোস্তফার নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জরিমানাসহ কারাদণ্ড দেওয়ার হুমকি দেন। টাকা না দিলে গোলাম মোস্তফাকে মারধর করে মিন্টু রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গোলাম মোস্তফার মা-বাবা ও স্ত্রী সেখানে গেলে আসামি বেলায়েত হোসেন বলেন, ২৫ লাখ টাকা না দিলে আদরকে ‘ক্রসফায়ারে’ দেওয়া হবে অথবা তার কাছ থেকে আটশ বোতল ফেনসিডিল ও অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেওয়া হবে। তখন গোলাম মোস্তফার বাবা সাড়ে তিন লাখ টাকা দেন পুলিশ সুপার বেলায়েতকে। ১০ আগস্ট আরও ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয় তাকে।
গোলাম মোস্তফা মামলায় অভিযাগ করে বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ছয় লাখ টাকা না দিলে তার নামে বিভিন্ন মামলা দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন বেলায়েত।
আদালতে মামলা চাঁদাবাজির অভিযোগ টপ নিউজ পুলিশ সুপার বেলায়েত মামলা দায়ের রাজশাহী রেঞ্জ