Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সময়ের সাথে সাথে শেখ কামাল অপরাজিতই থাকবেন’


৬ আগস্ট ২০২০ ০৯:২০ | আপডেট: ৬ আগস্ট ২০২০ ১৫:২৩

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ভিত্তি তৈরি হয়। শেখ কামালকে একাধারে ক্রীড়াবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক, তরুণ রাজনীতিক হিসেবে ইতিহাসে সময় নামক থার্ড আম্পায়ার নট আউটই ঘোষণা করবে। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শেখ কামাল অপরাজিতই থাকবেন বলে মত দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তারা এই মত প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৫ আগস্ট) শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘তারুণ্যের জেগে ওঠার নাম শেখ কামাল’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

দলের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এই বিশেষ ওয়েবিনারে ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এই অনুষ্ঠানটি।

আলোচক হিসেবে অনলাইন মিটিং প্ল্যাটফর্ম জুম এর মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক হারুন-উর-রশিদ, সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মন্ডল এবং আবাহনীর প্রথম অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার এবং সিনিয়র ফটো সাংবাদিক পাভেল রহমান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে শহীদ শেখ কামালকে স্মৃতিচারণ করে নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, ‘উনি (শেখ কামাল) শেখ মুজিবের সন্তান এমন কোনো দাম্ভিকতা ছিল না। ছিলেন সাধারণ মানুষের মতই। জাতির একটি সংস্কৃতির যা যা উপাদান দরকার ছিল তার ভিত্তি কিন্তু শেখ কামাল গড়ে দিয়েছিলেন। আজ তা তরুণ প্রজন্মের কাছে লালিত হচ্ছে।’

নাট্যব্যক্তিত্ব ম হামিদ বলেন, ‘আমরা যখন একসঙ্গে ছিলাম তখন আমাদের মাঝে সম্পর্ক ছিল অন্যরকম। স্বাধীনতার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক চর্চা দেখার মত ছিল। শুধু রাজনীতিতেও না, শেখ কামালের বিচরণ ছিল সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও।’

তিনি বলেন, ‘সেতার বাজানোতে শেখ কামাল ছিলেন দক্ষ। আমরা একসঙ্গে আড্ডা দিতাম। অনেক ভাল গান করতো। আমরা অবসরে তার গান শুনতাম। ১৯৭৫ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমরা ডাকসুর উদ্দ্যেগে পালন করি। তখন আমরা ছাত্রলীগ ও ডাকসু একসঙ্গে পালন করি। শেখ কামাল আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন আমরা নতুন নতুন গান করি।’

বিজ্ঞাপন

ম হামিদ বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কামালকে যেভাবে দেখেছি স্বাধীনতার পরেও সেভাবে দেখেছি। তখন কিন্তু কামাল প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং জাতির পিতার ছেলে। সে বাংলাদেশের সবচাইতে ক্ষমতাবান, জনপ্রিয় ও সবচাইতে প্রভাব যার সকল ক্ষেত্রে; তার সন্তান। কিন্তু সেই শেখ কামালের চলাফেরায়, আড্ডা, ঘোরাফেরায় কোথাও তার কোনো প্রতিফলন ছিল না। সে একজন সাধারণ ছাত্রের মতই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসত।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাফেরা করতো, তারসঙ্গে একদল মানুষ থাকত। এটা এই জন্য নয় যে সে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে। এটা এই জন্য যে, সে খুবই একজন জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তার কথা, তার রসিকতা করা, তার সবকিছুই ছিল অসাধারণ। যে কারণে সবাই থাকে পছন্দ করত। শিক্ষকরাও তাকে খুব পছন্দ করত, শিক্ষকদের প্রতি তিনি খুব শ্রদ্ধাবান ছিলেন।’

নাটকের ক্ষেত্রে স্মৃতি চারণ করেন ম হামিদ বলেন, ‘একজন সহজাত প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল। তখন আমি ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম। সখ্যের জায়গায় শেখ কামাল ছিল অনন্য। সে ছাত্রলীগ করত। আমি ছাত্র ইউনিয়ন করতাম। ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ডাকসুতে নির্বাচিত হয়েছি। আমরা বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ, মতবাদের মানুষ ছিলাম কিন্তু বন্ধুত্বের মধ্যে এটা কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
কাজের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। নাট্যচক্রের প্রথম যে কমিটি হয়েছিল তার সহসভাপতি ছিল শেখ কামাল এবং নাসির উদ্দিন বাচ্চু সেও সহসভাপতি ছিল। আমরা তখন একসঙ্গে কাজ করেছি। সেখানে আমাদের দলের কোনো পরিচয় ছিল না। আমাদের পরিচয় ছিল আমরা সবাই নাটককে ভালোবাসি, দেশকে ভালোবাসি এবং সংস্কৃতিকে ভালবাসি।’

স্বাধীনতার পরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা চমৎকার সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি হয়েছে। প্রচুর অনুষ্ঠান হয়েছে, প্রচুর প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে কিš‘ কোথাও কোন সমস্যা তৈরি হয়নি এবং এই ক্ষেত্রে শেখ কামালের একটা বড় অবদান ছিল। শেখ কামাল ছাত্রলীগের হয়েও যখন ডাকসুর অনুষ্ঠানগুলোতে সক্রিয় হয়ে পড়ত তখন আলাদা একটা ম্যাসেজ চলে যেত সবার কাছে। এই সংস্কৃতির জায়গাটাকে সবার মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। তার প্রভাব ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়েছিল এবং তারুণ্যের একটা প্রতীক ছিল শেখ কামাল। শেখ কামালের মতো এমন প্রতিভা দীপ্ত তরুণ ওই সময় আমি আর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে কাউকে দেখিনি।

ম হামিদ বলেন, ‘শেখ কামাল কিন্তু সেই সময় সেই সময় পূর্ব পাকিস্তান আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল এবং সেখানে সেতার বাদনে দ্বিতীয় হয়েছিল। অর্থাৎ কতটা দক্ষতা অর্জন করলে সেতারের মতো একটা শিল্প রপ্ত করা যায় এবং বাজানো যায়। শেখ কামাল এমন একজন প্রাণবন্ত মানুষ ছিল। যে সবাইকে মাতিয়ে রাখতে পারত। শেখ কামালের আরেকটি গুণ ছিল মেয়েদের খুব সম্মান করত এবং কোনো মেয়ে কখনো বলতে পারবে না তার প্রতি কোনো রকম অসম্মানজনক উক্তি শেখ কামাল করেছিলেন।’

শেখ কামালের প্রতিষ্ঠিত আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রথম অফিসিয়াল আলোকচিত্রী পাভেল রহমান বলেন, ‘১৯৭৪ সালে কামাল ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে, ৩২ নম্বরের বাড়িতে। আমি বঙ্গবন্ধুর ছবি তুলছিলাম নীচ তলায়, খেলাঘরের বাচ্চারা বঙ্গবন্ধুর গলায় লাল স্কার্ফ পরিয়ে দিচ্ছিলেন। সেসময় বারান্দায় কামাল ভাইকে দেখলাম। আমি সালাম দিয়েই সামনে যেতেই আমাকে তিনি কেক হাতে দিলেন। দিয়ে বললেন ‘কেমন আছো?’। আমি এত চমকে উঠেছি! যে আমার সাথে উনার তখনো পরিচয় নেই, কিন্তু উনি এভাবে বললেন! তারপর তিনি বললেন- তুমি কোথায় কাজ করো? আমি বলতেই তিনি বললেন, ‘তুমি কি আমাদের আবাহনীর ছবি তুলে দিবে? তখন তিনি আমাকে আবাহনী ক্লাব চিনিয়ে দিলেন।’

পাভেল রহমান বলেন, ‘এরপর আমরা ক্লাব থেকে গণভবনে আসছি বঙ্গবন্ধুর কাছে। আমি একে একে অনেক ছবি তোলার পর হঠাৎ করেই কামাল ভাই আমাকে ডাক দিলেন- ‘পাভেল, পাভেল! আমিও ভাবছিলাম কি জানি কি ছবি তুলবেন হয়তো। কাছে যেতেই উনি আমাকে পেছন থেকে একটু ধাক্কা দিয়েই বঙ্গবন্ধুর দিকে আগিয়ে দিলেন! আমি বুঝে উঠার আগেই এর মধ্যেই তিনি বঙ্গবন্ধুকে বললেন, ‘আব্বা, আব্বা! ও হচ্ছে আমাদের আবাহনীর ফটোগ্রাফার।’ বলতেই আমি তো অবাক! আমাকে পরিচয় করিয়ে দিবেন, আমার মধ্যে কি আছে পরিচয় করিয়ে দেবার! বঙ্গবন্ধু রিল্যাক্স করে বসছিলেন, যখন শুনেছেন আবাহনীর ফটোগ্রাফার তিনি একটু নড়েচড়ে বসলেন। এরপর কামাল ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন- ‘তোদের আবাহনীতে আবার ফটোগ্রাফার ও আছে?’। কামাল ভাই বললেন, ‘হ্যা আব্বা আছে, ওর নাম পাভেল।’ এরপরে তো কামাল ভাইয়ের সঙ্গে আরও অনেকবার দেখা হয়েছে, সবগুলোই স্মরণীয় ঘটনা হয়ে আছে। কামাল ভাইয়ের যে দিকটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো উনার মনটা একদমই কিশোর, এত কিশোর মন তার! এতো সবসময় উনার চঞ্চলতা উনার মাঝে, মনে হতো আমরাই যেনো বুড়ো হয়ে যাচ্ছি!’

বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মণ্ডল বলেন, ‘আমার বয়স অনুসারে কামাল ভাইকে সামনাসামনি দেখার সুযোগ হয়নি তবে সাংবাদিক হিসেবে শুধু পত্র-পত্রিকা পর্যালোচনা করে বা একটু অনুসন্ধানী চোখ নিয়ে দেখে, মানুষের সঙ্গে কথা বলেই আমাকে শেখ কামাল সম্বন্ধে কথা বলতে হবে। আমি একাত্তরেই ফিরে যেতে চাচ্ছিলাম। কারণ ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’ নামে যে দলটা হলো, সেই দলের ভিতর কেনো যেন জুনিয়র-সিনিয়রের ভেতরে একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলো। সেই অন্তর্দ্বন্দ্ব সুরাহা করার জন্য শেখ কামাল সেখান উপস্থিত, তখন তিনি তাদের উদ্দেশ্য করে বললেন- ‘ঠিক আছে, আমরা সবাই এখানে এসেছি। আগেই দেশ স্বাধীন করতে হবে। দেশ স্বাধীনের পরে আমরা একটা দল করবো, আমরা একটা ক্লাব করবো, সেখানেই ফুটবলের নতুন কিছু করবো। এই যে নতুন কিছু করার চিন্তা। ২৬ বছর ১০ দিনের জীবন যার, তার জীবনের প্রতিটি বাঁকেই বোধহয়, বাক পরিবর্তনে নতুন কিছু স্বাক্ষ্য রেখে গেছেন, নতুন কিছু করার।’

তিনি বলেন, ‘শেখ কামালকে দেশের তরুণ সমাজ বেশি মনে রাখবে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে, ক্রীড়াবিদ হিসেবে। ক্রীড়াবিদ শেখ কামালকে ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ কামালের ২৬ বছর ১০ দিনের ক্যানভাসটাকে যদি আমরা চিন্তা করি আমার কাছে মনে হয় এটা কোনো ছোট গল্প নয়, এটা কোনো উপন্যাস নয়। এটা কোনো অসমাপ্ত নাটক না। এটি একটি শর্টফিল্মের মতো।’

শেখ কামালের জীবনাদর্শনের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘শেখ কামাল বাংলাদেশে যখন ক্রিকেটটা বন্ধ হওয়ার পথে, রাজার খেলা ক্রিকেট এই ধারণা থেকে। রাজার খেলা না, খেলার রাজা ক্রিকেট সেইভাবে ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটিও করিয়েছিলেন তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে। কিন্তু মানুষ যেটা জানে না। আবার ফিরে যেতে হবে ইতিহাসের কাছে, আর্কাইভের কাছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি খুব দুঃখের সঙ্গে বলি। কেন জানি আমরা ইতস্তত করি স্বীকৃতিটা দিতে। শেখ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু পাননি। কিন্তু এখন আমরা এমন অনেককেই দেখি, যেখানে একটা জনপ্রিয়তাও নেই। তারাও কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু পান, শেখ কামাল পাননি। কেন পাননি ইতিহাস এক সময় বিবেচনা করবে।‘

ইতিহাসে সময় হচ্ছে থার্ড আম্পায়ার মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা ফ্রেম এখন আমরা দেখা শুরু করছি। আসলে থার্ড আম্পায়ার যখন চায়, তখন সময় শেখ কামালকে বিবেচনা করছে। এখন নতুন নতুনভাবে শেখ কামাল আবির্ভূত হয়। ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যায়, আজকে একটা প্রজন্মকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল মিথ্যাচারে, বিভ্রান্তিতে, অসত্য তথ্য দিয়ে। আস্তে আস্তে ইতিহাস এবং সময় সেই পাতাগুলোকে সরিয়ে দেয়। সময়ের বিচারে, সময় যখন থার্ড আম্পায়ার শেখ কামাল আউট অর নট আউট; সেটা সময় বলে দেবে। সময়ের সেই বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে স্লো মোশনে আলট্টা মোশনে ফ্রেম চায়। শেখ কামালকে বিভিন্ন আঙ্গীকে দেখার সময় এসেছে। বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে হবে।’

‘শেখ কামাল নেই, শেখ কামাল ক্রিজের বাইরে কিন্তু শেখ কামালের ব্যাটটা ক্রিজেই ইন করা আছে সুতরাং সময় নামক থার্ড আম্পায়ার শেখ কামালকে নট আউটেই ঘোষণা করবেন। অর্থাৎ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শেখ কামাল অপরাজিতই থাকবেন’-বলেন অঘোর মন্ডল।

অঘোর মন্ডল আরও বলেন, ‘আরও নতুনভাবে শেখ কামালকে গবেষণা করার বিষয় আছে। তরুণ সমাজকে জানতে হবে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও বঙ্গবন্ধুর সন্তান বলে তার পিছনে মানুষ যায় না। মানুষ যায় সেই লোকটার পিছনে যার ভিতরে মানুষের মৌলিকগুণগুলো থাকা দরকার।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও শেখ কামালের বন্ধু হারুনুর রশীদ বলেন, ‘কামাল ২৬ বছরের একটা তরুণ। ২৬ বছরেই কামাল যেই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছে আমাদের কাছে, আমরা মনে করি যে এই বয়স কিংবা এর চেয়ে বেশি বয়সের কারো মাঝে এমন প্রতিভা দেখা পাই নাই।’

তিনি বলেন, ‘শেখ কামালের ইচ্ছা ছিল- এই আমাদের খেলার দুনিয়ার মাধ্যমে, রাজনীতির মাধ্যমে, সরকারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে যে পরিচয় বাংলাদশের হবে, তিনি খেলাধুলার মাধ্যমেই সবার মাঝে সেই পরিচয় এনে দেওয়ার তীব্র আকাঙক্ষা ছিল।’

অপরাজিত টপ নিউজ শেখ কামাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর