Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাকালের ঈদে চট্টগ্রামে কোরবানি ‘কিছু কম’


১ আগস্ট ২০২০ ১১:৫৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সৃষ্ট মহামারি পরিস্থিতিতে ভিন্ন পরিবেশ ও আমেজে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনার ভয়-আতঙ্ক, আর্থিক সংকট নিয়েও উৎসবে সামিল হয়েছে মানুষ।

মসজিদে-মসজিদে নামাজ আদায় হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। পশু কোরবানিও চলছে, তবে এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে কম বলে জানিয়েছেন বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিতরা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১ আগস্ট) সকাল পৌনে ৮টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেছেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের পেশ ইমাম মোহাম্মদ আহমুদুল হক। একইস্থানে সকাল পৌনে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় জামাত।

নামাজের পর খুতবায় দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণ কামনায় এবং করোনাভাইরাসের সংকট থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহতালার কাছে আকুতি জানানো হয়েছে। ত্যাগের মহিমায় আত্মশুদ্ধি এবং মনের কালিমাকে কোরবানি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে খুতবায়।

তবে অন্যান্য বছরের মতো এবার জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন দলের নেতা, জনপ্রতিনিধিরা এক হননি। নিজ নিজ এলাকায় মসজিদেই নামাজ আদায় করেছেন রাজনীতিক-জনপ্রতিনিধিরা।

চট্টগ্রাম নগরীতে এবার সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ১৬৮টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির উদ্যোগে নগরীর ৯৩টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঈদ জামাতে প্রবেশের সময় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কাতারে পরস্পরের মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব রাখা হয়। মুসল্লিদের মুখে মাস্ক ছিল। নামাজ শেষে মুসল্লিরা পরস্পরের সঙ্গে আলিঙ্গন থেকে বিরত থেকেছেন। তবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

বিজ্ঞাপন

নামাজ আদায়ের পরপরই নগরীর বিভিন্ন অলিগলি, রাস্তায়, মাঠে, বাসা-বাড়ির সামনে কোরবানি শুরু হয়। তবে এবার অলিগলিতে-সড়কে কোরবানি কিছুটা কম চোখে পড়েছে। কোরবানি শুরুর আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে আর্থিক সংকট আছে। কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখেছি, আগে যে ভবনের নিচে পাঁচটি গরু জবাই হত, এবার হচ্ছে দুইটি। অনেকে গতবছরও এককভাবে দিয়েছেন, এবার দিচ্ছেন ভাগে। সবমিলিয়ে আমার ধারণা, এবার চট্টগ্রাম শহরে ৩০ ভাগ কোরবানি কম হবে।’

কাউন্সিলর শৈবাল জানান, বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রায় ৪ হাজার কর্মী বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলে গেছেন। ৩৫০টি গাড়িও বের হয়ে গেছে।

নিয়মিত আড়াই হাজার টন এবং কোরবানির ৫ হাজার টন মিলিয়ে এবার সাড়ে ৭ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিকেল ৫টার মধ্যে বর্জ্য পুরোপুরি অপসারণের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সংগ্রহ করা পশুর চামড়া অবিক্রিত অবস্থায় সড়কে ফেলে গেলে, সেগুলো অপসারণ করার জন্যও টিম করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ছবি: শ্যামল নন্দী

ঈদ জামাত কোরবনি টপ নিউজ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধি

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর