ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন চট্টগ্রামের মাছচাষী নাজিম
৩০ জুলাই ২০২০ ০২:০৫ | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০২:৫৪
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মাছচাষী নাজিম উদ্দিন। সেই টাকায় নাজিম মাছের প্রজেক্ট আরও বড় করার পাশাপাশি একমাত্র ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সাতকানিয়ার কেরানিরহাট নিউমার্কেটে ওয়ালটন পণ্যের পরিবেশক এশিয়া ইলেকট্রনিক্সে নাজিম উদ্দিনের হাতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। সেসময় উপস্থিত ছিলেন ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিদুয়ান উদ্দীন ও এশিয়া ইলেকট্রনিক্সের সত্ত্বাধিকারী নিজাম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা। রয়েছে কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার। এ সুযোগ থাকছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।
এই নিয়ে সিজন ৭ এ ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৮ জন ক্রেতা। তারা হলেন-গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ আলী, নওগাঁর গামছা বিক্রেতা সোলায়মান হক, রাঙ্গামাটির মুরগির খামারি চাইথোয়াইঅং মারমা, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী রণজিত চন্দ্র রায়, রাজধানীর দক্ষিণ কাফরুলে গৃহিণী সুফিয়া খাতুন, কুমিল্লা লাকসামের ইউনুস মিয়া এবং পাবনার চাটমোহরে সোহেল রানা।
নাজিম উদ্দিন জানান, বাড়িতে আগে বিদেশি ব্র্যান্ডের একটি ফ্রিজ ছিল। কয়েকদিন আগে ওই ফ্রিজটি নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে সামনে কোরবানি ঈদ। তাই কেরানির হাট নিউ মার্কেটে এশিয়া ইলেকট্রনিক্স থেকে ২৯ হাজার টাকায় ওয়ালটনের নতুন একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন। ফ্রিজটি কেনার কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি ম্যাসেজ যায়। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। এটা দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, ওয়ালটন থেকে পাওয়া টাকায় এখন তার স্বপ্ন পূরণ করবেন। মা-হারা ছেলের ভবিষ্যতের জন্যও কিছু অর্থ সঞ্চয় করবেন। তিনি ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান মল্লিক জানান, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।