গণভবনে আছি, মন পড়ে আছে তোমাদের ওখানে— নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনা
২৬ জুলাই ২০২০ ২১:২৩ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০ ০১:৪৮
ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ না হওয়ার মনোবেদনার কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অনেকদিন পর সবাইকে দেখলাম। ইনশাল্লাহ আমি এখানে (গণভবনে) আছি কিন্তু আমার মন যেন পড়ে আছে তোমাদের ওখানে। মন চাচ্ছে কবে বসতে পারবো।’
রোববার (২৬ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে ধানমন্ডিতে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের মুঠোফানে ভিডিওকলে সংযুক্ত হয়ে উপস্থিত নেতাদের এই এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন- ‘ত্রাণ সংকট নেই, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে সে প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছি’
বিকেলে ৪টার দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমানের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক অনির্ধারিত বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সুবর, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় নেতাদের বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যাই হোক তোমরা ভালো থাকো। অনেকদিন পর সবাইকে দেখলাম। ইনশাল্লাহ আমি এখানে আছি কিন্তু আমার মন যেন পড়ে আছে তোমাদের এখানে।’
‘ইনশাল্লাহ, আমি কাজ করে যাচ্ছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি। কারণ অর্থনীতিটাকে চাঙ্গা রাখতে হবে। অর্থনীতি যেন মুখ থুবড়ে না পড়ে। যে কারণে করোনার সময়ে বাজেটও দিয়ে দিলাম। আর এখন আমাদের কাজগুলি যতটুকু পারা যায়, এই কারণে প্রকল্পগুলি তাড়াতাড়ি পাস করে দিচ্ছি যে, তৈরি থাকি। যদি দিন আসে, সম্পূর্ণ করতে পারবো ‘
করোনা ভাইরাসের কারণে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকা বেইজড মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আমার মনটা পড়ে আছে, তোমাদের ওখানে। মন চাচ্ছে কবে বসতে পারবো।’
এর জবাবে এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘আপা, আমরাও তো চাই, আপনাকে সামনাসামনি দেখি।’ আর আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘ইনশাল্লাহ এই অন্ধকার কেটে যাবে।’
এরপর শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কিন্তু সবার কথা চিন্তা করি। এবার কিন্তু আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আমাদের পার্টির নেতাকর্মীরা, সহযোগী সংগঠন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবাই করোনাভাইরাসের সময় কাজ করেছে, সবার জন্য আমি দোয়া করি, সবার সুস্থতা কামনা করি। সাংবাদিকরাও অনেক পরিশ্রম করছে। আমাদের অনেক তথ্য দিচ্ছে।‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাওয়া দাওয়া, এসবের কোনো অসুবিধা হবে না। আমাদের পর্যাপ্ত সবকিছু আছে। মানুষের খাবার যেন কষ্ট না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
সবাইকে আগাম ঈদ মোবারক ও শুভেচ্ছাও জানান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।