‘নিঃশব্দে ঘটে যাওয়া ডিজিটাল বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়’
২৬ জুলাই ২০২০ ১৭:৩০ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ২১:৫৮
ঢাকা: আমাদের অনেকের অজান্তে দেশের প্রযুক্তি তথা যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো বদলে গেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অবয়ব কী এখন আর কাউকে বোঝাতে হয় না। তার প্রমাণ করোনাকালে অব্যাহত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ডিজিটাল বাংলাদেশের এই নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে নিশব্দে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়।’
রোববার (২৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সজীব ওয়াজেদ জয়: সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে এক ব্রিফিং তিনি এসব কথা বলেন।’
এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও গ্রন্থের প্রকাশক জুনাইদ আহম্মেদ পলক এমপি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এবং গ্রন্থের সম্পাদক আশরাফুল আলম খোকন ও গ্রন্থের পরিকল্পনাকারী ইয়াসিন কবির জয়।
এসময় প্রকাশিত গ্রন্থটির অনলাইন সংস্করণও উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে অমিত সম্ভাবনার সমৃদ্ধিও অগ্রযাত্রায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এক দেশ বাংলাদেশ। ক্ষুধা, দুর্যোগ আর সাহায্যপ্রাপ্তির অপবাদ ঘুচিয়ে বিশ্বের অর্থনীতির আকাশে দোদীপ্যমাণ এক সম্ভাবনার নাম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু আমাদের এনে দিয়েছেন স্বাধীন সার্বভৌম পতাকা। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে যিনি প্রযুক্তির সহায়তায় দেখিয়েছেন বিস্ময়কর সাফল্য, লাখ লাখ তরুণের প্রাণে বুনেছেন স্বপ্ন জয়ের বীজ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমার্ণে যিনি নেপথ্য কারিগর, তিনি বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র পরিশ্রমী মেধাবী পরিচ্ছন্ন জীবন এবং জীবিকার অধিকারী সজীব ওয়াজেদ জয়।’
সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং কম্পিউটার প্রকৌশলী হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েড। আগামীকাল সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন। তার জন্মবার্ষিকীতে প্রকাশিত হলো ‘সজীব ওয়াজেদ জয় সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ গ্রন্থটি। গ্রন্থের প্রকাশক, সম্পাদক আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনসহ সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান ওবায়দুল কাদের।
এই গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জনের পর্যায়ক্রমিক এবং কৌশলগত দিক সচিত্র উঠে এসেছে। কিভাবে একটি দেশ বদলে যাচ্ছে, কিভাবে অর্জন করছে সক্ষমতা। শেখ হাসিনার অমিত অর্জন ও দক্ষ নেতৃত্বে আজ বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশ সমৃদ্ধি ও অর্জনের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃত। তার বিচক্ষণ সাহসী মানবিক নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি এই গ্রন্থটি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এদেশের প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিবারের রয়েছে বলিষ্ঠ অবদান। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। এদেশের রাজনীতির সততা আর দেশপ্রেমের অনন্য নজির বঙ্গবন্ধু পরিবার। ৭৫ পরবর্তী এদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, সবচেয়ে সফল রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্য এ দেশের মর্যাদা সমুন্নত করে যাচ্ছেন দেশের সীমানায় দাঁড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও। কেউ গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসাননি। পরিশ্রম করে আপন মেধায় নিজ নিজ আসনে সবাই উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনা আমাদের অর্জনের মহাসড়কে ক্ষণিকের বাধা হলেও যতক্ষণ শেখ হাসিনা চালকের আসনে, নেতৃত্বের আসনে আছেন ততদিন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার লক্ষ্যপানে। এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির বর্ণিল দিগন্তে। তার দিনরাত পরিশ্রম, সততা দেশপ্রেম মানবিকতা তাকে কোটি কোটি মানুষের আস্থার বাতিঘরে রূপান্তর করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় সকল দুর্যোগ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
বইটি প্রকাশের পটভূমি তুলে ধরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সারাদেশের তরুণদের কাছে সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের যে কর্মকাণ্ড তার যে ভিশন-মিশন তার যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সেটি তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য। জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় একজন তরুণ, একজন ভিশনারি লিডার এবং দেশের জন্য ওনি যে অসামান্য অবদান রেখেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার যে আধুনিক রূপ, ডিজিটাল বাংলাদে বিনিমার্ণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তার প্রজ্ঞা এবং মেধা কর্মকাণ্ডগুলো আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।’