Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে খুনি রাশেদ চৌধুরী’র নথি তলব


২৫ জুলাই ২০২০ ০২:৩০ | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ১২:৪০

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় মঞ্জুর সংক্রান্ত নথি তলব করেছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বার। এছাড়াও, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে তাদের প্রতিক্রিয়া জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন তিনি। খবর পলিটিকো।

এর ১৫ বছর আগে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা রাশেদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে মার্কিন সাময়িকী পলিটিকো শুক্রবার (২৪ জুলাই) জানিয়েছে, রাশেদকে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় দানের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির আইন বিভাগ। এ প্রক্রিয়ার শুরুর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় হারাতে পারে বঙ্গবন্ধুর এই খুনি।

আর এমন ঘটলে, তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার দীর্ঘ প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হতে পারে বলে পলিটিকো ইঙ্গিত দিয়েছে।

আরও পড়ুন – বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চেয়েছে ঢাকা

এদিকে, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের তরফ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিলেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের কাছে এ অনুরোধের জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।

অন্যদিকে, মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বারের এই পর্যালোচনা প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডার হাউট।

এ ব্যাপারে ওই আইনজীবী পলিটিকো’কে বলেন, ২০০৫ সালে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন মঞ্জুরের সময় বিল বার তার অসন্তুষ্টির কথা না জানিয়ে এখন আবার এই মামলা পুনরায় শুরু করতে চাইছেন। এর কোনো কারণ থাকতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, মনে হচ্ছে বিল বার ইতোমধ্যেই আমার মক্কেলে’র (রাশেদ চৌধুরীর) আশ্রয় মঞ্জুর করা অভিবাসন আদালতের রায় পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে রাশেদ চৌধুরী। তার প্রায় দশ বছর পর একজন অভিবাসন আদালত তার আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর করে। যদিও, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস)। ডিএইচএস’র পক্ষ থেকে বলা হয় – আশ্রয় আবেদনকারী নিজদেশে সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত, তাই সে আশ্রয় পাওয়ার অযোগ্য।

পরে, এই মামলাটি চলে যায় মার্কিন বিচার বিভাগের বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলসের কাছে। ২০০৬ সালে এই বোর্ড সিদ্ধান্ত দেয় যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য।

উইলিয়াম বার বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী বাংলাদেশ মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল যুক্তরাষ্ট্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর