সাহেদের সহযোগী শিবলীর দোষ স্বীকার
২৪ জুলাই ২০২০ ১৭:৩২ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ১৮:১২
ঢাকা: রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম ও প্রতারণার ঘটনায় সাহেদের অন্যতম সহযোগী ও হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলী দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিচ্ছেন।
দুই দফায় রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৪ জুলাই) শিবলীকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এসময় শিবলী স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তা রেকর্ড করার আবেদন করা হয়। এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শিবলীর জবানবন্দি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল।
গত ৯ জুলাই অভিযান চালিয়ে তরিকুল ইসলাম শিবলীকে রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ১০ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আদালতে হাজির করে বলেন, আসামি সাহেদের অন্যতম সহযোগী শিবলী। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তথ্য পেতে তাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এসময় দ্বিতীয় দফায় আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রিজেন্ট হাসপাতাল নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম-প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। সারাবাংলার অনুসন্ধানেও এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে ৬ জুলাই র্যাব হাসপাতালটিতে অভিযান চালিয়ে এসব অনিয়ম-প্রতারণার অভিযোগের সত্যতা পায়। জানা যায়, নমুনা পরীক্ষা না করেই করোনার রিপোর্ট দিত হাসপাতালটি, বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি না থাকলেও সে কাজটি করত। এছাড়া সরকারিভাবে করোনা নমুনা পরীক্ষার কথা থাকলেও তারা টাকা নিত। সরকারিভাবে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নিত প্রতিষ্ঠানটি।
র্যাবের অভিযানের পর ৭ জুলাই হাসপাতালটির সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই দিনই হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে র্যাব। পরে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে সাহেদসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে র্যাব।
টপ নিউজ তারেক শিবলী রিজেন্ট হাসপাতাল রিজেন্টের প্রতারণা সাহেদের সহযোগী শিবলী