নতুন নৌপ্রধান রিয়ার এডমিরাল শাহীন ইকবাল
১৮ জুলাই ২০২০ ২৩:১৭ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০ ২৩:১৯
ঢাকা: সরকার নতুন নৌবাহিনী প্রধান হিসেবে রিয়ার এডমিরাল এম শাহীন ইকবালকে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমান নৌপ্রধান এডমিরাল এএমএমএম আওরঙ্গজেব চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। আগামী ২৫ জুলাই বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব শাহীন ইকবাল।
শনিবার (১৮ জুলাই) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিয়ার এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এনবিপি, এনইউপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি ১ জুন ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১ ডিসেম্বর ১৯৮২ এক্সিকিউটিভ শাখায় কমিশন লাভ করেন। তিনি নৌবাহিনী ফ্রিগেটসহ সব শ্রেণির জাহাজ ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি কমান্ড করেছেন। এছাড়া তিনি নৌ সদরে সহকারী নৌ প্রধান (অপারেশান্স), সহকারী নৌ প্রধান (পার্সোনেল), পরিচালক নৌ অপারেশান্স, পরিচালক নৌ গোয়েন্দা, চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, খুলনা নৌ অঞ্চলের অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকুরী জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সর্বোচ্চ নেতৃত্বের গুনাবলী, সুদুর প্রসারী চিন্তা ভাবনা, আন্তরিকতা ও সততার ছাপ রেখেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘ চাকুরী জীবনে তিনি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ ও সামরিক কৌশলগত শিক্ষা অর্জন করেছেন। তিনি প্রতিটি প্রশিক্ষণে উচ্চতর গ্রেডিং অর্জন এবং কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় নৌবাহিনী প্রধানের কাছ থেকে সর্বোচ্চ প্রশংসা প্রাপ্তসহ নানাধরনের সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র হতে নেভাল স্টাফ কোর্স, মেরিটাইম কম্পোনেন্ট কমান্ডার ফ্ল্যাগ অফিসার কোর্স, ইন্টারন্যাশনাল সারফেস ওয়ারফেয়ার কোর্স, ভারত থেকে অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার কোর্স এবং মিরপুর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে এনডিসি কোর্সসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন।
চাকুরী জীবনে রিয়ার এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিশেষ অবদান রাখেন। ২০১৩ সালে খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার এর দায়িত্ব পালনকালে তিনি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধাণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিচারক ও বিশ্লেষক দলের সঙ্গে কাজ করেন এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের স্থানীয় ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, মিয়ানমার-টেকনাফ মাদক এবং মানবপাচার রোধে বিশেষ অবদান রাখাসহ জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অত্যন্ত সফলতার সাথে পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় প্রকল্প সূচনার মাত্র ১০ মাসের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য একটি প্রত্যন্ত দ্বীপকে বাসযোগ্য করে তোলার মাধ্যমে তিনি সর্বমহলের প্রশংসা অর্জন করেন।
রিয়ার এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল তার অসামান্য একাডেমিক সাফল্য ও পেশাদারিত্বের জন্য নৌবাহিনীর সর্বোচ্চ পদক (এনবিপি) এবং নৌ উৎকর্ষ পদকে (এনইউপি) ভূষিত হন।