নেপথ্য থেকে ডা. সাবরিনা সহযোগিতা পেয়েছেন: ডিবি
১৮ জুলাই ২০২০ ২১:২৮ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০ ২৩:৩৮
ঢাকা: নেপথ্য থেকে ডা. সাবরিনা চৌধুরী সহযোগিতা পেয়েছেন, তা না হলে তো এ কাজগুলো করার কথা না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন। এছাড়াও তিনি বলেন, তবে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।
শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। জেকেজি কোভিড-১৯ পরীক্ষা জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতার ডা. সাবরিনার পেছনে কারা রয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্তের এ পর্যায়ে ডা. সাবরিনা আগে যে তথ্যগুলো দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি যে বিষয়টি ব্যবহার করেছেন তা হলো- ফেসভ্যালু ও স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন জায়গায় তার পরিচিত। স্বামী আরিফুলও তার সঙ্গে বিষয়টি ক্যাপিটালাইজড করে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। যেমন- করোনার প্রাথমিক অবস্থায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি প্রোজেক্ট তৈরি করা হয়েছিল; যেখানে স্যাম্পল সংগ্রহ ও কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা তারা করেনি। বিষয়টি এখনও তদন্তনাধীন রয়েছে। তদন্তে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পাওয়া গেলে আমরা তা আমলে নেব। এছাড়া অনিয়ম পাওয়া গেল স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হবে।’
নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগ গ্রেফতার হয়েছেন ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আরিফুল চৌধুরী ও তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। তাদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন
করোনার ভুয়া রিপোর্ট: জেকেজির আরিফুলসহ ৪ জন কারাগারে
রিমান্ডে থেকেও ‘ইয়াবা চাইছেন’ জেকেজি’র আরিফুল
সরকারি চাকরি করেও ছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজি’র চেয়ারম্যান
গ্রেফতারের সংবাদ শুনে তিতুমীর কলেজ থেকে পালালো জেকেজি’র কর্মীরা
চিকিৎসকরা পেত না পিপিই, জেকেজির জন্য ‘আনলিমিটেড’
সরকারি খরচে বেসরকারি ‘প্রতারণা’ জেকেজি হেলথ কেয়ারের
অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ধমক দিয়ে কাজ করাত জেকেজি হেলথকেয়ার