Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টেও হয়নি মারুফ রেজার জামিন


১৪ জুলাই ২০২০ ১৪:১০ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২০ ১৪:১২

ঢাকা: ৩০ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে আলোচিত সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় আসামি মারুফ রেজাকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। আদালত তার জামিন আবেদন নিয়ে নিয়মিত বেঞ্চে যেতে বলেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আব্দুল মতিন খসরু। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

পরে ড. মো, বশির উল্লাহ জানান, আসামি মারুফ রেজার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত তাকে জামিন দেননি। বরং তার জামিন আবেদন নিয়ে নিয়মিত বেঞ্চে যেতে বলেছেন। ফলে আপাতত তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

৩০ বছর পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চারজনের বিরু‌দ্ধে গত ১৪ জানুয়া‌রি আদাল‌তে অভিযোগপত্র দেয়। এক হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৫৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। গত ৯ মার্চ অভিযোগপত্র আম‌লে নি‌য়ে একই আদালত অভিযোগ গঠন শুনা‌নির জন‌্য ১৫ মার্চ দিন ঠিক ক‌রে‌ছি‌লেন। ত‌বে ১৫ মার্চ আসা‌মিপক্ষ সময় আবেদন করায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কা‌য়েশ শুনা‌নির নতুন দিন ১৬ এপ্রিল ঠিক ক‌রেন। এরপর করোনা মাহামারি শুরু হওয়ায় আর শুনানি হয়নি।

মামলার আসামিরা হলেন- নিহত সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও জনৈক মারুফ রেজা।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ সালাম ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকাল ৫টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছামাত্র মটরবাইকে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতের সোনার চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি দৌঁড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সগিরা মোর্শেদ সালাম মারা যান।

বিজ্ঞাপন

ওই দিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সগিরা মোর্শেদ সালামের স্বামী সালাম চৌধুরী। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক জড়িত দু’জনকে শনাক্ত করলেও অজ্ঞাত কারণে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণ নামে একজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দীক। সাক্ষ্য নেওয়া হয় সাতজনের। সাক্ষ্যে বাদীপক্ষ থেকে বলা হয়, তদন্তকালে আসামি মন্টু এবং তৎকালীন (১৯৮৯) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসানের নিকটাত্মীয় মারুফ রেজা গ্রেফতার হন। কিন্তু মারুফ রেজার নাম বাদ দিয়েই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে মারুফ রেজার নাম আসায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ১৯৯১ সালের ২৩ মে মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন ঢাকার বিচারিক আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজার রিভিশন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২ জুলাই হাইকোর্ট মামলাটির অধিকতর তদন্তের আদেশ ও বিচারকাজ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি অধিকতর তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

পরের বছর ২৭ আগস্ট জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এ মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সম্প্রতি বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের নজরে আনলে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর বিষয়টি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে তোলা হলে আদালত স্থ‌গিতা‌দেশ প্রত‌্যাহার ক‌রে নেন। এরপর নতুন করে শুরু হয় এ মামলার বিচার কাজ।

বিজ্ঞাপন

জামিন আবেদন সগিরা মোর্শেদ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

নতুন বছরে টেকনোর নজরকাড়া অফার
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১০

চমক জয়া আহসান!
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৫

আরো

সম্পর্কিত খবর