Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২ শিক্ষকের সাফল্যে খামারে আগ্রহী হচ্ছেন গাংনীর বেকার তরুণরা


১০ জুলাই ২০২০ ০৮:৪০ | আপডেট: ১০ জুলাই ২০২০ ০৯:৪৯

মেহেরপুর: ১০ বছর আগের কথা। কলেজ শিক্ষক দুই বন্ধু নজরুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম শিক্ষকতার বাইরের সময়টিতে মুরগীর খামার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। গাংনী-হাটবোয়ালিয়া সড়কের পাশে মড়কা এলাকায় একটি শেডে এক হাজার মুরগী নিয়ে শুরু তাদের সেই খামারের। ওই খানেই এরপর ১০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন সমন্বিত হাঁস-মুরগি ও মাছ চাষের খামার।

দিন দিন বাড়তে থাকে দুই শিক্ষকের খামারের পরিধি। বর্তমানে তাদের খামারে রয়েছে আড়াই হাজার মুরগি, ২ হাজার হাঁস আর পুকুর ভরা মাছ। কঠোর পরিশ্রমে এমন সাফল্য অর্জন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দুই প্রভাষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি সমন্বিত খামার গড়ে এলাকার বেকারদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

নজরুল ও শরিফুল জানান, এখন প্রতিদিন তাদের খামার থেকে দেড় হাজার হাঁসের ডিম এবং ট্রাকভর্তি মাছ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারে। আড়াই হাজার ডিম উৎপাদনকারী মুরগীও রয়েছে তাদের খামারে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তাদের খামারটিকে আরও বড় পরিসরে সমন্বিত কৃষি খামার হিসেবে গড়ে তুলতে চান তারা, এর মাধ্যমে স্থানীয়দের জন্য কর্মসংস্থানও তৈরি করাটাই লক্ষ্য তাদের।

নজরুল ও শরিফুলের খামারেও এখন কাজ করছেন এলাকার অনেকেই। আর তাদের সাফল্য এলাকার অনেককেই উদ্বুদ্ধ করেছে খামার গড়ে তুলতে। খামার শ্রমিক মারুফ হোসেন জানান, তিনি ছয় মাস ধরে খামারে কাজ করছেন। বর্তমানে তার মাসিক বেতন ৬ হাজার টাকা। মারুফের চাচা মাহাতাব আলীও আট বছর ধরে খামার পরিচর্যার কাজ করছেন। এখানকার আয়েই তাদের সংসার চলে।

খামারের উদ্যোক্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে তাদের খামারে ১৫ জনেরও বেশি কর্মী কাজ করছেন। আরও বড় পরিসরে কাজ করতে পারলে আরও লোককে নিয়োগ দিতে চান তিনি। তরুণরা নিজেরাই যেন খামার গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়, সে জন্যও তাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন এবং দিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তফা জামান বলেন, সঠিক পরামর্শ নিয়ে এমন উদ্যোক্তা তৈরি হলে উদ্যোক্তারা যেমন লাভবান হবে, তেমনি এলাকার পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণেও তারা ভূমিকা রাখতে পারবে। আর স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ তো থাকবেই।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, বিনামূল্যে ওষুধ ও ভ্যাকসিন সরবরাহসহ খামারিদের সব সুযোগ-সুবিধা তারা দিয়ে যাচ্ছেন।

পোল্ট্রি মুরগির খামার শিক্ষকের খামার

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর