Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মা’কে বাঁচাতে গিয়ে বাবার হাতে ছেলে খুন, বাঁচেননি মা-ও


৮ জুলাই ২০২০ ২১:৩০ | আপডেট: ৮ জুলাই ২০২০ ২২:৫৭

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে ছেলে সোহাগ (১৫) নিহত হয়েছে।  আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন মা মনোয়ারা বেগমও (৪০) মারা যান। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লার গেদ্দার বাজার এলাকায় এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে রাতেই ছেলে সোহাগের মৃত্যু হয়। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মনোয়ারা।

বিজ্ঞাপন

ফতুল্লা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) এস এম শামীম জানান, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে রাতে সোহাগের মা-বাবা ঝগড়া করছিল। একপর্যায়ে হারেস মিয়া ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে  আঘাত করতে যান। তখন মাকে বাঁচাতে গেলে সোহাগ ছুরিকাঘাতে আহত হয়। তখন স্ত্রী মনোয়ারাকেও ছুতিকাঘাত করে সে। এরপর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে দেখতে পেয়ে প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সোহাগের মৃত্যু হয়। হারেস আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘ভোরবেলা স্বামী-স্ত্রীকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার সময় তাদের ১৩ বছরের মেয়ে বিথী দৌড়ে বাসার বাইরে চলে যাওয়ায় সে আহত হয়নি। কী কারণে হারেস ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার কারণ ও তিনি মাদকাসক্ত কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

হারেসের ভাতিজা মোঃ রায়হান জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ ত্রিশাল উপজেলার দূর্গাপুরে। হারেস রিকশাচালক, তার স্ত্রী মনোয়ারা ও ছেলে সোহাগ গার্মেন্টস কর্মী। কয়েকদিন আগেও তাদের  মধ্যে ঝগড়া হয়। সবাই মিলে সমাধান করা হয়েছিল। গতরাতে হঠাৎ আবার কী নিয়ে এই ঘটনা ঘটলো তা বলতে পারছি না। তবে হারেসই স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করেছে। আর মাকে বাঁচাতে গিয়ে সোহাগও ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

টপ নিউজ নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর