কুড়িগ্রামে বন্যায় চরম দুর্ভোগ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
৩ জুলাই ২০২০ ০৯:৫৬ | আপডেট: ৩ জুলাই ২০২০ ১৩:৪৫
কুড়িগ্রাম: এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক বানভাসি মানুষের। বন্যার পানি কেড়ে নিয়েছে মানুষের জীবন। গত ২৪ ঘন্টায় বন্যার পানিতে ডুবে ২ শিশু ও একজন বয়স্ক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকট বেড়েই চলেছে। সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। চারনভূমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বন্যা কবলিত মানুষ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সদর উপজেলার ২ শিশু, চিলমারী উপজেলার ১ শিশু ও ১ বয়স্ক ব্যক্তি, নাগেশ্বরী উপজেলার ১ শিশু ও উলিপুর উপজেলার ১ শিশু রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, বন্যার্তদের মাঝে ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণের জন্য ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই টাকা বিতরণ শুরু হয়েছে। নতুন করে আরও একশ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন বরাদ্দ পেলে তা বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় চরম দুর্ভোগ: তিন শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু