ঢামেকের জন্য ২০ কোটি টাকা অর্থছাড় দেওয়া হয় ২৩ জুন
১ জুলাই ২০২০ ২২:২৩ | আপডেট: ২ জুলাই ২০২০ ০৭:৪৪
ঢাকা: ২৩ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) কোয়ারেনটাইন এক্সপেন্স বাবদ ২০ কোটি টাকা অর্থ ছাড় দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এই দিন ঢামেকের আওতাধীন রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
২২ জুন অর্থ বিভাগের স্মারক নং-০৭.১০৪.০২০.২৭৪১.০২২.২০১৮.৩৩৯ সূত্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেই অর্থছাড় করা হয়।
এই অর্থছাড় দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজে কোয়ারেনটাইন এক্সপান্সে হোটেল ভাড়া বাবদ ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা অর্থছাড় দেওয়া হয়। এছাড়াও খাওয়া বাবদ পাঁচ কোটি ৫০ লাখ ও পরিবহন বাবদ এক কোটি ৭০ লাখ টাকা অর্থ ছাড় দেওয়া হয়।
একই চিঠিতে ঢাকা রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের কোয়ারেনটাইন এক্সপেন্স বাবদ এক কোটি টাকার অর্থ ছাড় দেওয়া হয়। এতে হোটেল ভাড়া বাবদ ৭২ লাখ টাকা, খাওয়া বাবদ ১৬ লাখ টাকা, পরিবহন বাবদ পাঁচ লাখ টাকা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ সাত লাখ টাকা ছাড় করা হয়।
সম্প্রতি ঢামেকের চিকিৎসকদের কোয়ারেনটাইন বাবদ ২০ কোটি টাকার বিষয়ে নানারকম আলোচনা সমালোচনা হয়। জাতীয় সংসদেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
৩০ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক সংসদে এসে ঢামেকে চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়া নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে জাতীয় সংসদে দাবি করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এদিকে ১ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, গত ২ মে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কোভিড-১৯ রোগী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ারেনটাইনে রাখতে কিছু আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়। তখন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সব স্টাফের থাকা-খাওয়া ও পরিবহন খরচসহ সব খরচ দেখানো হয়েছে এই ২০ কোটি টাকা।
হাসপাতালের পরিচালক বলেন, জুনের প্রথম দিক হোটেল বাজেট দিয়েছিলাম ২০ কোটি টাকা। ওই সময় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালকে এক কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছি। আমরাও সে টাকা পেয়েছিলাম। ওই টাকা থেকে পরিবহন খরচ ও হোটেলে কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি টাকা এখনো পাইনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্টাফদের থাকা-খাওয়ার জন্য ৩০টি হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এর জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। কমটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, সদস্য সচিব উপপরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. মো. মোজাফ্ফর হোসেন ও ডা. আশরাফুন নাহার। তারা হোটেলে যাতায়াতসহ থাকা-খাওয়া সবকিছুর তদারকি করেন এবং প্রতিটি হোটেলের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে।
২০ কোটি টাকা করোনাভাইরাস করোনার চিকিৎসা টপ নিউজ ডিএমসি ঢাকা মেডিকেল