একাদশে ভর্তিচ্ছুদের জন্য কোনো সুখবর নেই
২৩ জুন ২০২০ ১৬:১৩ | আপডেট: ২৩ জুন ২০২০ ১৯:২৮
ঢাকা: প্রায় এক মাস আগে ফল পেলেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ব্যাপারে এখনো অনিশ্চয়তায় রয়েছে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি শেষ হলেই তাদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হয়ে আছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই ভর্তির আয়োজন করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুরুতে আমরা ঢাকার চারটি কলেজকে ভর্তির অনুমতি দিয়েছিলাম। পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়া অনেক লোক সমাগম হতে পারে, যেটি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। এজন্য একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে আমরা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে চাই।’
একাদশে ভর্তি কার্যক্রমের মতোই অনিশ্চয়তায় রয়েছে উত্তীর্ণদের ফল পুনঃপরীক্ষণের আবেদনও। ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী এবার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত তাদের ফল প্রকাশ করতে পারেনি বোর্ড। কবে প্রকাশ করা হবে সে ব্যাপারে কিছু বলা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো পাবলিক পরীক্ষার ভাগ্য ঝুলে আছে। ঝুলে আছে একাদশে ভর্তি কার্যক্রমও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়গুলো নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আর ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনগুলো যাচাই করা হচ্ছে। বেশি শিগগিরই এই তালিকা প্রকাশ করবো।
তিনি আরও বলেন, এসএসসি উত্তীর্ণদের জন্য আমরা চাইলে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম চালু করতে পারি। আবেদন করতে অনেকে কম্পিউটার দোকানে, রাস্তায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও শিক্ষা বোর্ডে এসে ভিড় করবে। এটা নতুন করে করোনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। তাই আমরা এটি করতে চাচ্ছি না।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে প্রকাশিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। এবারের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
এদিকে এবার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭১ জন পরীক্ষার্থী। তারা সর্বমোট ৪ লাখ ৮১ হাজার ২২২টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেন।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এসএসসির ফল প্রকাশের পরের দিন থেকে গত ৭ জুন পর্যন্ত পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। আবেদনে প্রতিটি বিষয়ের জন্য বোর্ডগুলো ১২৫ টাকা করে নিয়েছে। এতে করে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আয় হয় ৬ কোটি ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৫০ টাকা।
এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘পুনঃপরীক্ষণের আবেদনগুলোর ভিত্তি করে আবারও খাতা পুনঃমূল্যায়ন করা হচ্ছে। নতুন ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।