Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনার ধাক্কায় পেছাবে আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসিও!


২২ জুন ২০২০ ১২:৪৪ | আপডেট: ২২ জুন ২০২০ ২৩:৫২

ঢাকা: চলতি শিক্ষাবর্ষে এখন পর্যন্ত একটি মাত্র পাবলিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে (এসএসসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সেই পরীক্ষারও ফল প্রকাশ করতে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বেশ। শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, এইচএসসি তো বটেই, এ বছর অনুষ্ঠেয় ছোটদের দুই পাবলিক পরীক্ষা পিইসি ও জেএসসি আয়োজনও পিছিয়ে যেতে পারে। এখানেই শেষ নয়, এ বছরের বড় একটি সময় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে আয়োজন নিয়েও তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

বিজ্ঞাপন

করোনা পরিস্থিতির কারণে এইচএসসি পরীক্ষার ভাগ্য এখনো ঝুলে আছে। পরীক্ষাটির সময়সূচি নির্ধারণ করেও শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। সেই তালা কবে খুলবে সে নিশ্চয়তা পাওয়ার আগেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার আয়োজনে।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেছেন, চলতি বছরের নভেম্বরে নির্ধারিত পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী বা পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা এবং আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও সময়মতো নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে পিইসি ও জেএসসি পিছিয়ে ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, সংক্রমণ বাড়ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে আমাদের পরীক্ষায়। পরীক্ষা আয়োজন করতে বিপুল জনসমাগম করতে হয় বলে আমরা আশঙ্কা করছি, এ বছরের পাবলিক পরীক্ষাগুলো পিছিয়ে যেতে পারে।

এদিকে, শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার জন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। সংক্রমণ কমলে এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ১৫ দিন পর এবারের এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।

এ বছরের ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ঝুঁকিতে পরীক্ষাটি এখন পর্যন্ত স্থগিত হয়ে আছে। আর চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে আয়োজন করতে না পারায় এর প্রভাব আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও পেছানোর চিন্তাভাবনা চলছে। এই দুই পরীক্ষার জন্য ফেরুয়ারি ও এপ্রিল মাস নির্ধারণ করা থাকলেও ওই দুই মাস থেকে পরীক্ষা পিছিয়ে যেতে পারে।

তিনি বলছেন, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কারোরই পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস পড়ানো সম্ভব হয়নি। এমনকি এসব ক্লাসের ইনকোর্স ও প্রি-টেস্টের মতো পরীক্ষাগুলোও নেওয়া সম্ভব হয়নি। হলে আগামী বছর যথাসময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে ফল বিপর্যয়ের সম্ভাবনা থাকবে।

এ ছাড়াও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন বাসায় অবস্থান করায় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টিও পরীক্ষা পেছাতে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।

তবে জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) যথাসময়ে পরীক্ষা আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে তারা শিক্ষাবর্ষকে দুই মাস বাড়িয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, শিক্ষাবর্ষ দুই মাস বাড়িয়ে নিয়ে, নিরবচ্ছিন্ন ক্লাসের মাধ্যমে সিলেবাস শেষ করা যায়। এতে করে যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়াও সম্ভব হবে।

তবে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়ে পরীক্ষার আয়োজন ভালো ফলাফল দেবে না। আমাদের যে ঘাটতি হয়েছে সেটি পুষিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। এ পরিকল্পনা হয়তো চলতি শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার বেলায় তেমন কাজে আসবে না। কারণ এবারের পরীক্ষাগুলো পেছানো ছাড়া আর কোনো উপায়ই অবশিষ্ট নেই।’

করোনা করোনা মোকাবিলা করোনাভাইরাস টপ নিউজ পরীক্ষা পাবলিক পরীক্ষা

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর