Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘স্বাস্থ্য খাত কতটা ভঙ্গুর, করোনায় প্রমাণ হয়ে গেছে’


৫ জুন ২০২০ ০০:৩০ | আপডেট: ৫ জুন ২০২০ ১১:৩৯

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত কতটা ভঙ্গুর, নভেল করোনাভাইরাসের আক্রমণে সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আজ যখন করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীকে আক্রমণ করেছে, বাংলাদেশে আক্রমণ করেছে, তখন আমাদের স্বাস্থ্য খাত যে কত ভঙ্গুর, সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে। আমাদের সরকার উন্নয়নের কথা বলে, প্রবৃদ্ধির কথা বলে। কিন্তু কোনো প্রবৃদ্ধি, কোনো উন্নয়ন সফল হবে না, যদি না সত্যিকার অর্থেই বৃহত্তর জনগোষ্ঠী তা থেকে লাভবান হয়।’

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাতে ‘শহীদ জিয়ার কৃষি বিপ্লব’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে কী হয়েছে? এক শ্রেণির মানুষ অনেক ওপরে উঠে গেছে। আরেক শ্রেণির মানুষ নিচে নেমে গেছে। এই অবস্থায় কখনো সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলে যাই, ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কারণে, ভুল নীতির কারণে ভয়াবহ রকম একটা দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে, তখন ১০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। তখন খাদ্যের অভাব ছিল না। অমর্ত্য সেন তারা বইয়ের মধ্যে পরিষ্কার করে বলেছেন, এটা ছিল মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ। অর্থাৎ এক দিকে ম্যানেজমেন্টের সমস্যা, অন্যদিকে দুর্নীতি।’

‘জিয়াউর রহমান দায়িত্বে আসার পর যখন কৃষির ওপর গুরুত্ব দিয়ে একদিকে সেচের ব্যবস্থা করলেন, অন্যদিকে উন্নত বীজের ব্যবস্থা করলেন, অন্যদিকে কৃষি উপকরণগুলো সহজলভ্য করলেন, সার-কীটনাশকের ব্যবস্থা করলেন। তখন আবার দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো। আরেকটি যুগান্তকারী কাজ তিনি করেছিলেন— পল্লী বিদ্যুৎ তিনি নিয়ে এসেছিলেন। গ্রামীণ অর্থনীতিতে অনেক বেশি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল এই পল্লী বিদ্যুৎ,’— বলেন মির্জা ফখরুল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আজকে যখন আমরা এই ভয়ংকর কোভিড-১৯ মোকাবিলা করছি এবং জনগণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে, তখন বার বার জিয়াউর রহমানের কথা মনে হয়। তার নেতৃত্ব যদি আর কিছু দিন পেতাম, তাহলে হয়তো এই ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, এই ভঙ্গুর অর্থনীতি দেখতে হতো না। তার পরও আমরা আশাবাদী। জিয়ার আদর্শ, ১৯ দফা কর্মসূচি, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ— এগুলোকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারই যোগ্য উত্তরসূরি ছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছেন, তখনই কৃষির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কৃষকেরা কৃষি ঋণের জন্য হয়রানি হতো, ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে গ্রেফতার হতো। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে সুদসহ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত  কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ২০০১ সালে একইভাবে ১০ হাজার টাকা মওকুফ করে দিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘মসলার জন্য মাত্র দুই শতাংশ সুদে ঋণের ব্যবস্থা করেছিলেন খালেদা জিয়া। কৃষি অধিদফতরকে শক্তিশালী করেছিলেন। যারা ব্লক সুপারভাইজার ছিলেন, তাদেরকে তিনি কৃষি সহকারী হিসেবে পদমর্যাদা দিয়েছিলেন। তার সময় ডেইরি ফার্ম অনেক বেশি বিস্তার লাভ করেছিল। তিনি ছোট ছোট খামার মালিকদের অনুদান দিয়েছিলেন। পোল্ট্রি উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মাছ চাষিদের প্রণোদনা দিয়েছিলেন।’

‘কোভিড-১৯ চলে যাওয়ার পর যে মন্দা আসবে, সেখানে টিকে থাকার একমাত্র খাত হচ্ছে কৃষি। তাই কৃষির ওপর আমাদের সব চেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে। কৃষকদের সমস্যার সমাধান করতে হবে,’— বলেন সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আলোচনায় আরও অংশ নেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যাম শামসুজ্জামান দুদু। আলোচনা সভাটি আয়োজন করে বিএনপি কমিউনিকেশন।

করোনাভাইরাস জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী টপ নিউজ বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শহীদ জিয়ার কৃষি বিপ্লব স্বাস্থ্য খাত

বিজ্ঞাপন

লন্ডনের পথে খালেদা জিয়া
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৯

আরো

সম্পর্কিত খবর