‘সচেতনতায় এত প্রস্তুতি নেওয়ার পরও যাত্রীরা তা অনুসরণ করেনি’
৪ জুন ২০২০ ১৮:২৪
মুন্সীগঞ্জ: লঞ্চের যে ডিজাইন, তা কোভিড-১৯ কাভার করে না উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘তারপরও আমাদের এভাবে চলতে হচ্ছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিআইডাব্লিউটিএ, বিআইডাব্লিউটিসি এবং নৌ-অধিদফতরের পক্ষ থেকে মার্চ মাস থেকেই সচেতনতামূলক লিফলেট যাত্রীদেরকে দিয়েছি। আমাদের আগে সচেতনতামূলক লিফলেট কেউ দেয়নি। আমরা সচেতন করার চেষ্টা করেছি।’
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের রো রো ফেরিঘাটে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি লঞ্চঘাট, স্পিডবোট ঘাট ও ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘মার্চের ২০ তারিখ একটি মিটিং করেছি যেখানে কিভাবে যাত্রীসেবা দিতে পারি সে বিষয়ে এবং তার চারদিন পর আমাদের লকডাউন হয়েছে এবং সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। খুলে দেওয়ার আগে তিনদিন একটি সমন্বয় মিটিং করেছি। মালিক, শ্রমিক এবং কর্তৃপক্ষ সবাই যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। স্যানিটাইজার ট্যানেল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ সব কিছুই আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তুত ছিল। আমরা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দেখলাম এত প্রস্তুতি নেওয়ার পরও যাত্রীরা এটাকে অনুসরণ করেনি। লকডাউন চলছিল, ফেরি চলছিল, যা নিয়ে সারা পৃথিবীতে ব্যাপক নিউজ হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিন্তু ফেরি চালু রেখেছিলাম বিশেষ বিশেষ কারণে। সরকারি কার্যক্রম চালু রাখা, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসা, পণ্য, ত্রাণসহ এসব জরুরি কাজে চালু রেখেছিলাম। কিন্তু হাজার হাজার মানুষ এখানে উপস্থিত হয়েছে, আমাদের ঘাটের লোকজন অসহায় হয়ে পড়েছিল। অনেকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশে যেসব নৌরুট আছে সব জায়গায় সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নে চাপ প্রয়োগ করছি। যেখানে বিধি ভঙ্গ হচ্ছে সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।