Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান, টিম থেকে ফয়সাল ‘আউট’


৪ জুন ২০২০ ১৬:৩৫ | আপডেট: ৪ জুন ২০২০ ১৮:৩৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মানুষকে চিকিৎসাবঞ্চিত করা চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে গঠিত সার্ভেইল্যান্স টিম ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিককে নোটিশ ইস্যু করেছে। ‘বিতর্ক এড়াতে’ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিএমএ নেতা ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীকে। তবে সমালোচনার পরও ক্লিনিক মালিক লিয়াকত আলী কমিটিতে বহাল আছেন।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই চট্টগ্রামে বন্ধ করে রাখা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো। গত ৪ এপ্রিল চট্টগ্রামে এক সভায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় চট্টগ্রামের ১২টি বেসরকারি হাসপাতালকে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরসহ ব্যবহারের সুবিধাসহ ব্যবহারের জন্য নির্ধারণ করেছিল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গঠিত বিভাগীয় কমিটি।

হাসপাতালগুলো হচ্ছে— পার্কভিউ হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, সার্জিস্কোপ হাসপাতাল (ইউনিট-২), ডেল্টা হাসপাতাল, সিএসটিসি হাসপাতাল, সিএসসিআর, ন্যাশনাল হাসপাতাল, এশিয়ান হাসপাতাল, রয়েল হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল এবং ম্যাক্স হসপিটাল। চার পর্যায়ে তিনটি করে হাসপাতাল ক্রমানুসারে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল ওই সভায়।

কিন্তু দুই মাস পরও চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা শুরু হয়নি। হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর খবর আসছে গণমাধ্যমে। চট্টগ্রামে একদিকে বাড়ছে কোভিড-১৯ রোগী, অন্যদিকে চিকিৎসার জন্য হাহাকার চলছে। চিকিৎসা খাতে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে গত ২৭ মে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে কোভিড-১৯ এবং অন্য সব ধরনের রোগীকে আলাদা ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দিতে নির্দেশনা আসে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওই নির্দেশনাকে পাত্তাই দেননি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের মালিকরা। এ অবস্থায় গত ৩০ মে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে চিকিৎসা সেবা মনিটরিংয়ের জন্য সার্ভেইল্যান্স টিম গঠন করা হয়। এই টিমের প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে।

বিজ্ঞাপন

সার্ভেইল্যান্স টিম বুধবার (৩ জুন) নগরীর ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিককে চিঠি দিয়ে সেসব প্রতিষ্ঠানে দৈনিক কত রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তার তথ্য চেয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে বা ক্লিনিকে কত রোগী দৈনিক সেবা নিতে আসেন, এর মধ্যে কতজন সাধারণ ও কতজনের কোভিড-১৯-এর উপসর্গ আছে, কতজনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে, কাউকে সেবা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছি কি না, দিলে তার কারণ এবং হাসপাতালে মোট শয্যা সংখ্যা— এসব তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

সার্ভেইল্যান্স টিমের আহ্বায়ক চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে চিকিৎসা নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের টিম গঠন করা হয়েছে মানুষ যেন চিকিৎসা পায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য। আমরা এরই মধ্যে ২০টি হাসপাতালকে নোটিশ ইস্যু করেছি। টিম পুনর্গঠন করা হয়েছে। আমরা হাসপাতালগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনে যাব। মানুষকে বাঁচাতে আমাদের কঠোর অবস্থান অবশ্যই আছে। তবে আমরা কাউকে জোর করতে চাই না। জোর করে চিকিৎসা আদায় করা যায় না। আমরা চাই, সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু আছে, ততটুকু দিক। করোনায় আক্রান্ত হোক কিংবা না হোক, চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার থেকে তো কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।’

টিম পুনর্গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টিমে বিএমএ’র সেক্রেটারিকে রাখা হয়েছিল। উনার পরিবর্তে এখন বিএমএ’র সভাপতিকে রাখা হয়েছে। বাকি সবাই অপরিবর্তিত আছেন।’

এর আগে বিএমএ চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী এবং বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির সেক্রেটারি ডা. লিয়াকত আলীকে সার্ভেইল্যান্স টিমে রাখায় সমালোচনা শুরু হয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অভিযোগ আছে, বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক মালিকদের চিকিৎসা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে শক্তি ও মদত যুগিয়েছেন তারা।

তবে বেশি বিতর্কিত লিয়াকতকে টিমে বহাল রাখা নিয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘টিমে কোনো ব্যক্তিকে নয়, পদকে রাখা হয়েছে। যেহেতু লিয়াকত সাহেবের পদবি আছে, তিনি মেম্বার হয়েছেন।’

তবে হঠাৎ টিম পুনর্গঠন নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা চট্টগ্রাম বেসরকারি হাসপাতাল

বিজ্ঞাপন

শেষ কবে এতটা নিচে ছিলেন কোহলি?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৪

মুম্বাই যাচ্ছেন শাকিব খান
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৫

আরো

সম্পর্কিত খবর