‘করোনায় আক্রান্ত শ্রমিকের সংখ্যা তুলনামূলভাবে কম’
৪ জুন ২০২০ ১৫:৪২ | আপডেট: ৫ জুন ২০২০ ০০:১৯
ঢাকা: পোশাক কারখানায় তুলনামূলকভাবে কম শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।
তিনি বলেন, গতকাল পর্যন্ত ২৬৪ জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন। যে তুলনায় শ্রমিকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা ছিল, সংখ্যাটি কিন্তু সেই তুলনায় খুবই কম। কারণ গরিব মানুষের এক ধরনের শক্তি থাকে। তারা লড়তে জানে। তারা সচেতন এবং তারা অসুস্থ হবে না বলেই ধরে নেন। সেই শক্তি নিয়েই তারা কাজ করেন।’
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) শ্রমিকদের জন্য করোনা ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিজিএমইএ। এসময় করোনা আক্রান্ত শ্রমিকদের চিকিৎসার সব ব্যয়ভার মালিকরা বহন করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন- ‘চলতি মাস থেকে গার্মেন্টসে শ্রমিক ছাঁটাই শুরু হবে’
করোনায় পোশাক খাত ৪২ হাজার কোটি টাকার ধাক্কা খাবে জানিয়ে বিজিএমই সভাপতি বলেন, ‘তারপরও এবছর পোশাক খাত থেকে রফতানি আয় হবে ২৩ বিলিয়ন ডলার। করোনায় স্থগিত হওয়া ৩.১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২৬ ভাগ অর্ডার পুনরায় ফিরে পেয়েছি। আর করোনায় মোকাবিলায় এখন মানুষ সুস্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। পোশাকে নয়। ফলে শতকরা ৬৫ শতাংশ অর্ডার কমে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে ৫৫ ভাগ বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ২ শতাংশ তুলছে।’
অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব আব্দুস সালাম, ডায়াবেটিক অ্যসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (বাডাস)-এর সভাপতি প্রফেসর ডা. এ. কে. আজাদ খান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল্স অ্যসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী, বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার জন্য ল্যাব তৈরি করেছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) ‘স্টেট অব দ্যা আর্ট কোভিড ১৯ ল্যাব’ উদ্বোধন করা হয়। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গার্মেন্ট সেক্টরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব মালিকপক্ষের পাশিপাশি তাদেরও। তাই তাদের এ উদ্যোগ। সংগঠনটি জানিয়েছে, টঙ্গী ও গাজীপুর এলাকার জন্য একটি ল্যাব এবং সাভার-আশুলিয়া ও চন্দ্রার জন্য একটি ল্যাব এরইমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে দিন ৪০০ জনের করোনার টেস্ট করা যাবে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জেও ল্যাব তৈরির লক্ষ্য রয়েছে বিজিএমইএ’র।