বগুড়ায় ১০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ গুণ, ল্যাবে নমুনাজট
৩ জুন ২০২০ ১৭:৫৭ | আপডেট: ৪ জুন ২০২০ ০১:২৬
বগুড়া: জেলায় আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে নভেল করোনাভাইরাস। প্রতিদিন নতুনকরে শনাক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র মঙ্গলবারেই (২ জুন) বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫৭ জন।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ১০ দিন আগে বগুড়ায় শনাক্ত হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪৩। বুধবার (৩ জুন) রাতের তথ্য বলছে, এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭৫ জনে । সে হিসাবে, এই সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও জানিয়েছে ১ এপ্রিল বগুড়ায় প্রথম করোনা রোগী সনাক্তের পর এক মাসের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ জনের মধ্যে। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সদর উপজেলার শহর এলাকা। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হওয়া ৪৭৫ জনের মধ্যে সদরেই ২৭৬ জন। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ইতিহাস পাওয়া যাচ্ছে শহরের চেলোপাড়া এলাকায়।
তবে, নমুনা সংগ্রহের হার আগের তুলনায় কয়েক গুণ বাড়াতে হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) আরটি পিসিআর ল্যাবের ওপর চাপ বাড়ছে। প্রতিদিন পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকা নমুনা জমে গিয়ে নমুনাজটও তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। শজিমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল পিসিআর ল্যাবে চাপ থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
ডা. রেজাউল আলম জুয়েল সারাবাংলাকে জানান, কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষকদের শুন্যপদ পূরণ করে লোকবল বাড়ানোসহ আরও একটি পিসিআর মেশিনের প্রয়োজন রয়েছে।
অন্যদিকে, শজিমেকে’র পিসিআর ল্যাব সূত্র সারাবাংলাকে নিশ্চত করেছে, ল্যাবে দিনে সর্বোচ্চ ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা গেলেও, দৈনিক নমুনা জমা পড়ছে তিন শতাধিক। সে হিসাবে, প্রতিদিন অন্তত দেড়শ নমুনা ‘পেন্ডিং’ (পরীক্ষার অপেক্ষায়) থাকছে।
এ ব্যাপারে বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২ জুন) পর্যন্ত পরীক্ষার জন্য মোট অপেক্ষমান নমুনা ছিল এক হাজার ৬৬২। এর মধ্যে, ঢাকায় পাঠানো হয়েছে পাঁচ শতাধিক। তিনি আরও জানান, নমুনাজট কমানোসহ এসব নমুনার গুণগত মান ঠিক রেখে দ্রুত পরীক্ষা সম্পন্ন করতেই নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কোভিড-১৯ টপ নিউজ নভেল করোনাভাইরাস শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল