Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনা সংকটেও মে মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে


২ জুন ২০২০ ১৫:৩৪ | আপডেট: ২ জুন ২০২০ ১৭:০৮

ঢাকা: এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। খাদ্যপণ্য ছাড়াও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও এ মাসে কমেছে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব বলছে, এপ্রিলের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশের জায়গায় মে মাসে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশে। এছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।

অন্যদিকে, মে মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮১ শতাংশে, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এছাড়া  খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা গত এপ্রিল মাসে ছিল ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

এসময় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, পরিকল্পনা সচিব নূরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড.শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ, জাকির হোসেন আকন্দ এবং বিবিএস মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যেও  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের সাপ্লাই চেইন ভালো ছিল। তাছাড়া চাল, সবজিসহ সব কৃষি পণ্যের উৎপাদন ভালো হয়েছে। লকডাউনে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গসহ দেশের সবখান থেকেই পণ্য ঢাকায় এসেছে। ফলে কোনো কানো ক্ষেত্রে কম দামেই পণ্য বিক্রি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে বিবিএস মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, সাধারণত প্রতি মাসের ১২ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যেই মূল্যস্ফীতির হিসাব নেওয়া হয়। তাই এপ্রিল মাসে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি হয়েছে। কেননা মার্চ থেকে থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত লকডাউন কড়াকড়ি ছিল। পরবর্তীতে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে।

একনেক খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি গ্রামে মূল্যস্ফীতি টপ নিউজ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বিবিএস মূল্যস্ফীতি শহরে মূল্যস্ফীতি

বিজ্ঞাপন

লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানল, নিহত ৫
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর