উপসচিব পরিচয়ে বিয়ের ফাঁদ, প্রতারক গ্রেফতার
১ জুন ২০২০ ২১:১৮ | আপডেট: ১ জুন ২০২০ ২১:২১
ঢাকা: গোলাম মোস্তফা। নিজেকে পরিচয় দিতেন ২৪তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। কর্মস্থল সচিবালয়। ‘যোগ্য পাত্র’ হিসেবে এমন পরিচয়ের বায়োডাটা বানিয়ে ঘটকের মাধ্যমে পাঠাতেন বিত্তবান পরিবারগুলোতে। কথাবার্তা এগিয়ে গেলে পরিবারের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এরপর পিএইচডি বা বদলির কথা বলে হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। এরপর চলে যেতেন আত্মগোপনে।
এভাবে পাঁচটি পরিবারের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক ‘ভুয়া উপসচিব’ গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার (১ জুন) বিকেলে সিআইডি’র মিডিয়ার শাখার কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
ফারুক হোসেন বলেন, রোববার (৩১ মে) রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সিআইডিকে জানিয়েছেন, নিজেকে ২৪তম ব্যাচের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন। আর এই পরিচয় দিয়েই তিনি ফাঁদে ফেলতেন বিত্তশালী পরিবারকে।
প্রাথমিক তদন্তে সিআইডি জানতে পেরেছে, গ্রেফতার মোস্তফা নিজেকে কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো সচিবালয়ে কর্মরত উপসচিব অথবা সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। তার মূল টার্গেট ছিল বিত্তবান পরিবারের অবিবাহিত ও চাকরিজীবী মেয়ে। প্রথমে টাকার বিনিময়ে ঘটকের কাছ থেকে পাত্রীর বায়োডাটা সংগ্রহ করতেন। পরে পরিবারগুলোর সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে যোগাযোগ করত। একসময় পাত্রীর মায়ের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে আস্থা অর্জন করতেন। এরপর পিএইচডি করতে বিদেশ যাত্রা, দুদকে ঘুষ দেওয়া, বদলি বাতিল করাসহ নানা অজুহাতে ওই সব পরিবারের কাছ থেকে ‘ধার’ হিসেবে টাকা নিতেন। পরে সেই টাকা ফেরত না দিয়ে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে চলে যেতেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি প্রতারণার শিকার বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত একজন নারী রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রতারক গোলাম মোস্তফার নামে প্রতারণার মামলা করেন। ওই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। পরে তদন্ত-অনুসন্ধান শেষে অভিযান চালিয়ে মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়।
উপসচিব পরিচয়ে প্রতারণা টপ নিউজ প্রতারক গ্রেফতার বিয়ের ফাঁদ ভুয়া উপসচিব