আমেরিকায় ৪ সহস্রাধিক বিক্ষোভকারী আটক, ১৫ অঙ্গরাজ্যে সেনা মোতায়েন
১ জুন ২০২০ ১৫:৩৬ | আপডেট: ১ জুন ২০২০ ২০:১৪
আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের মুখে আফ্রো-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সারাদেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। টানা ষষ্ঠ দিনের মতো চলমান ওই বিক্ষোভ থেকে অন্তত চার হাজার ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ১৫ অঙ্গরাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঁচ হাজার রিজার্ভ সেনা (দ্য ন্যাশনাল গার্ড) মোতায়েন করা হয়েছে। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, বিবিসি।
এর আগে, বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪০ শহরে কারফিউ জারি করা হয়। কিন্তু কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নামে মানুষ।
এদিকে নিউইয়র্ক, শিকাগো, লস এঞ্জেলেস ও ফিলাডেলফিয়ায় দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল, পিপার বুলেট ছোড়ে। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং দোকানপাট ভাঙচুর করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এছাড়াও, ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজকে কেন্দ্র করে আবার জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। এসময় তারা একটি চার্চসহ কয়েকটি অবকাঠামোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ তাদেরকে লক্ষ করে টিয়ারশেল ছুড়লে তারা পুলিশকে লক্ষ করে পাথর নিক্ষেপ করে।
এ সময় সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, তাকে নিয়ে হোয়াইট হাউজস্থ একটি বাঙ্কারে অবস্থান নেয়।
অন্যদিকে, আমেরিকার ৭৫ শহরে বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভেতর কয়েকদিন আগেও এই শহরগুলো ছিল ধূ ধূ মরুভূমি কিন্তু পুলিশি নির্যাতন ও বর্ণবাদী আচরনবিরোধী এই বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অংশ নিতে দেখা গেছে।
পাশাপাশি, কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় অভিযুক্ত শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনকে সোমবার (১ জুন) আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন –
আমেরিকায় গণবিক্ষোভের মুখে প্রধান প্রধান নগরীগুলোতে কারফিউ
অ্যান্টিফাকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র
জর্জ ফ্লয়েড টপ নিউজ ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্য ন্যাশনাল গার্ড যুক্তরাষ্ট্র