চলবে বাস, ট্রেন-লঞ্চ চলাচলের প্রস্তুতি শুরু
৩০ মে ২০২০ ১১:৫৬ | আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ১৯:১১
ঢাকা: বাসের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া, সিট পরিষ্কার করা, এ সব কাজে এখন টার্মিনালে ব্যস্ত পরিবহন শ্রমিকরা। আর কমলাপুর রেল স্টেশনে দুপুরে শুরু হচ্ছে ট্রেনের টিকিট বিক্রি। টিকিট নিতে কমলাপুরে আসছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। রেল ভবনে মন্ত্রী টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেবেন। তখন থেকেই বিক্রি শূরু হবে –বলছেন কমলাপুর স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, টিকিট কাউন্টারের সামনে লোকজন আসতে শুরু করেছেন। এ জন্য টিকিট কাউন্টারের সামনে ৩ ফুট দূরে দূরে বৃত্ত এঁকে দেওয়া হয়েছে।
কাল ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রাজশাহী ও পঞ্চগড়ে ৮টি ট্রেন চালু হবে। পর্যায়ক্রমে বাড়বে ট্রেন সংখ্যা-জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
বাস মালিকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ জুন থেকে বাস চলবে। বাসে অর্ধেক যাত্রী তোলা হবে। প্রতি দুই সিটের বিপরীতে যাত্রী বসবেন একজন। এ জন্য ভাড়া বেশি নিতে চান মালিকরা। সে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ বৈঠক চলছে মালিকদের।
এদিকে লঞ্চের টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে সকাল থেকে। দুইমাস ৭ দিন পর লঞ্চ চলাচল শুরু হচ্ছে। বরিশাল থেকে ঢাকায় আসার লঞ্চের টিকিট বিক্রি বেশি হচ্ছে বলে সুন্দরবন, পারাবত লঞ্চের মালিকরা জানিয়েছেন।
সুন্দরবন লঞ্চ মালিক সাইদুর রহমান জানান, ঢাকাগামী যাত্রীরা টিকিট নিতে এসেছেন। কাউন্টারে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে নতুন ভাড়া ঠিক না হওয়ায় আগের ভাড়াতেই টিকিট কাটা হচ্ছে।
ঢাকা-ভোলা ও ঢাকা-বরিশাল রুটে দ্রুত গতির লঞ্চ চালায় গ্রীনলাইন। তাদের দুটি রুটে কাল থেকে সচল হবে।
গ্রীনলাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার সারাবাংলাকে জানান, কালকের যাত্রা আগের নির্ধারিত ভাড়াতেই যাত্রীরা টিকিট কাটা শুরু করেছেন। স্বাস্থবিধি মেনে তাদের লঞ্চ ঢাকা বরিশাল ও ঢাকা-ভোলা রুটে চলাচল করবে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা সিলেট রুটে সবচেয়ে বেশি বাস চলে এনা পরিবহনের। ভাড়া ঠিক না হওয়ায় এখনও তাদের টিকিট ছাড়া হয়নি। তবে বাস ধোয়ামোছাসহ টার্মিনালে আনার কাজ শেষ হয়েছে।
এনা ট্রান্সপোটের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ আতিক জানান, ভাড়া ঠিক হওয়ার পরই বাসের টিকিট উন্মুক্ত করা হবে। হুন্দাই ২৮ সিটের বাসে ২৮ জন যাত্রীর বিপরীতে অর্ধেক যাত্রী তুলতে হবে। এমন প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। এখন শুধু পুনঃনির্ধারণ করা ভাড়া জানার অপেক্ষায় তারা।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর শুভঙ্কর ঘোষ জানান, প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকায় বাসে ধুলার আস্তরণ পড়ে গেছে। টায়ার থেকে হাওয়া চলে গেছে। এ ছাড়া ব্যাটারি বসে গেছে। এখন এসব কাজ করে তারা বাস প্রস্তুত করছেন। মিস্ত্রিও পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরও প্রস্তুতি ১ জুনের মধ্যে শেষ হবে।
তিনি আরও জানান, ১ জুন থেকে বাস চালু করার ঘোষণা থাকলেও কাল রাত থেকে বাস বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটে যাবে। কারণ ঢাকার বাইরে বাস পৌঁছাতে হবে। ১ জুন একসঙ্গে সব গন্তব্য থেকে বাস ছুটবে।