Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এ প্লাস গুরু’ পরিচয়ধারী প্রতারক সিআইডি’র জালে ধরা


২৯ মে ২০২০ ১৭:১৮ | আপডেট: ২৯ মে ২০২০ ১৭:২৯

ঢাকা: পাবলিক পরীক্ষায় ‘এ প্লাস’ পাইয়ের দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের অন্যতম হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মনিরুজ্জামান (২৪)। ফেসবুকে তিনি ‘এ প্লাস গুরু’ হাসান মাহমুদ নামে পরিচিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) ঝিনাইদহ থেকে গ্রেফতার করা হয় মনিরুজ্জামানকে। শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডি’র ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ চটকদার সব পোস্ট দিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টাকা হাতানোই ছিল মনিরুজ্জামানের মূল কাজ। ‘আপনার কি পরীক্ষা খারাপ হয়েছে? আপনি কি ফলাফল আপগ্রেড করে এ প্লাস প্রত্যাশী? তাহলে আজই যোগাযোগ করুন এ প্লাস গুরুর সাথে। কাজ হবে, শতভাগ গ্যারান্টি।’— এরকম মেসেজ দিয়ে তিনি প্রতারণার জাল বিছিয়ে দিতেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য অবলম্বনে সিআইডি জানিয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশকে সামনে রেখে ফেসবুকে ফাঁদ পাতে এই চক্রটি। পরীক্ষা খারাপ হলেও পাস করিয়ে দেওয়া, ফলাফল আপগ্রেড করে এ প্লাস পাইয়ে দেওয়াসহ নানা ধরণের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পোস্ট দিতে থাকে। নিজেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন ফলাফল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করতেন মনিরুজ্জামান। আগ্রহীদের তার ইনবক্সে যোগাযোগ করতে বলতেন। যোগাযোগ করলে বিকাশের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন। এভাবে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েও নিয়েছেন। আর টাকা নেওয়া হয়ে গেলে তাদের ফেসবুকের আইডিটিকে ব্লক করে দিয়ে নতুন আইডি নিয়ে প্রতারণা চালাতেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ডিআইজি নাজমুল ইসলাম বলেন, এরকম অভিযোগ পাওয়ার পর আইডিটিকে শনাক্ত করা হয় এবং গ্রেফতার মিশন শুরু করে সিআইডি। অবশেষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।

মনিরুজ্জামান জানান, সাধারণ ছুটির মধ্যে পুলিশ করোনাভাইরাস নিয়ে ব্যস্ত আছে, অন্য অপরাধ নিয়ে মাথা ঘামাবে না— এরকম ধারণা থেকে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন তিনি। নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন ‘এ প্লাস গুরু’ হিসেবে। প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়েও নিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। আর মনিরুজ্জামানের তার বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।

নাজমুল আলম বলেন, এরা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু জানে না। এদের কথা কেউ বিশ্বাস করবেন না। আর অভিভাবকদের বলব, সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখুন। এসব প্রতারণায় অংশ নেওয়াটাও অপরাধ। কাজেই কাউকে টাকা-পয়সা দেবেন না। বোর্ড পরীক্ষার ফল কোনোভাবেই পরিবর্তন করা যায় না। এটি মিথ্যা কথা এবং স্রেফ গুজব।

এ প্লাস এ প্লাস গুরু টপ নিউজ পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রতারণা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর