হংকংয়ে চীনা আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ থেকে তিন শতাধিক আটক
২৭ মে ২০২০ ১৬:৫৯ | আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ১৭:০৭
চীনের অধীনে সায়ত্ত্বশাসিত বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে চীনা আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ থেকে তিন শতাধিক আন্দোলনকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে। হংকং পুলিশের ফেসবুক পোস্টের বরাতে বুধবার (২৭ মে) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে, চীনের আরোপিত জাতীয় সংগীত অবমাননা আইন ও জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সেন্ট্রালসহ হংকংয়ের বিভিন্ন জেলায় আন্দোলনকারীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে, অনুমোদনবিহীন জমায়েতের মাধ্যমে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে পুলিশ আন্দোলনকারীদের আটক করে।
হংকং পুলিশের পক্ষ থেকে এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রাল এবং কজওয়ে বে থেকে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে ১৮০ জনকে আটক করা হয়েছে। একই অভিযোগে মংকক জেলা থেকে ৬০ এবং ওয়ান চাই জেলা থেকে ৫০ জনকে আটক করেছে তারা।
এ ব্যাপারে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, প্রথমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিকের আইনপরিষদকে ঘিরে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। যেখানে চীনের জাতীয় সংগীত অবমাননা আইনের দ্বিতীয় খসড়ার পাঠ কার্যক্রম চলছিল। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিপুল পরিমাণ দাঙ্গা পুলিশ, জলকামান নিয়ে আইন পরিষদের প্রবেশমুখে অবস্থান নেন।
হংকং আইন পরিষদের কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, আগামী মাসের শুরুর দিকে জাতীয় সংগীত অবমাননা বিল চূড়ান্ত আইন হিসেবে গৃহীত হবে। এছাড়াও, চীনের বার্ষিক শীর্ষ রাষ্ট্রীয় সম্মেলন থেকে ম্যাকাও এবং হংকংকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানানো হয়েছে, হংকংয়ে বিক্ষোভের অংশ হিসেবে জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে দুয়ো ধ্বনি দেওয়া হয়েছে। এখন ওই সামান্য প্রতিবাদের ভাষাটিকেও আইন দিয়ে সুরক্ষা দেওয়ার কাজ চলছে। এছাড়া, জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে আসলে হংকংয়ের কোনো বিশেষত্ব থাকবে না। চীনের আর দশটা সাধারণ সিটির মতো হয়ে যাবে হংকং। এখানকার অধিবাসীদের স্বাধীনতা এবং অঞ্চল হিসবে হংকংয়ের বিশেষত্ব সমুন্নত রাখার দাবি নিয়ে তারা রাস্তায় নেমেছেন।
আরও পড়ুন –
চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আসছে হংকং