ঈদে পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা
২৭ মে ২০২০ ১৩:৩১ | আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ১৬:২৭
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী): পর্যটনকেন্দ্র ঘোষণা হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের মতো রমজানের ঈদে পর্যটকশূন্য সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। প্রতিবছর যখন ঈদ আসে তার পূর্বে আবাসিক হোটেল মোটেল গুলো সাজসজ্জায় থাকে পরিপূর্ণ। ঝিনুকের দোকান, শুটকি পল্লী খাবার হোটেল-রেস্টুরেন্ট চায়ের দোকানসহ পর্যটনমুখী সব ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীরা আশায় বুক বেঁধে থাকেন ঈদ আসলেই একটু স্বস্তি ফিরে পাবে।
তবে এবছর তার ব্যতিক্রম পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা হোটেলগুলো বন্ধ দোকান খুলছে না, নেই কোনো লোকজন।
প্রতিবছর ঈদের নামাজের পরে হাজার হাজার পর্যটক আসে সমুদ্র সৈকতে, যা ট্যাকেল দিতে হিমশিম খায় প্রশাসন। গোসলের জন্য নেমে যায় সাগরের বুকে। আজ তা একেবারেই ফাঁকা। মরণব্যাধী করোনাভাইরাসের কারণে আজ কুয়াকাটার বেহাল অবস্থা।
নভেল করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে পর্যটকদের ভ্রমনে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে গেছে কুয়াকাটার সৈকতে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে না গেছে, গত ১৮ মার্চ, (বুধবার) পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কুয়াকাটায় সৈকতে পর্যটদের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আবাসিক হোটেল মোটেলসহ সকল বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতের বেলাভূমিতে কোনো পর্যটকের পদচারণা নেই। নেই স্থানীয় মানুষেরও কোলাহল। পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীণ হয়েছে আবাসিক হোটেল মোটেল, খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ, টুরিস্টবোট, স্পিড বোর্ড ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
কুয়াকাটা টুরিস্ট বোট মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি জনি আলমগীর বলেন, ‘কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের শুরু থেকে আমি টুরিস্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্ত ঈদে এরকম পর্যটকশূন্য কখনো দেখিনি। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে কুয়াকাটায় পর্যটক না থাকায় আমাদের ট্যুরিস্ট বোটের মালিক, বোট চালকসহ সকলেই এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। একবেলা খেতে কষ্ট হচ্ছে অনেকের।’
আবাসিক হোটেল সৈকতের মালিক জিয়াউর রহমান শেখ বলেন, ‘আবাসিক হোটেল ব্যবসা শুরু করার পর এই প্রথম রমজানের ঈদে পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা দেখেছেন তিনি। গত ২৫ বছরে পর্যটকশূন্য কুয়াকাটার এমন তার চোখে পড়েনি।’ তিনি বলেন, ‘এমন সময় পর্যটকরা রুমের জন্য হোটেলে ভিড় করত। করোনার কারণে এবছর হোটেল তালাবদ্ধ রেখে অলস সময় পার করছেন মালিক-কর্মচারীসহ সকলেই।’