ঈদে বাড়ি ফেরা যাবে নিজস্ব পরিবহনে, থাকবে না পুলিশি বাধা
২২ মে ২০২০ ০৫:০২ | আপডেট: ২২ মে ২০২০ ১৩:১৪
ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতে ছিল পুলিশি নিষেধাজ্ঞা। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে পুলিশ। ইতোমধ্যে যাতায়াত ঠেকাতে সড়কে বসানো চেক পোস্টও তুলে নিয়েছে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তাই, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মানুষজন নিজস্ব পরিবহনে ফিরতে পারবেন গ্রাম কিংবা যেকোনো স্থানে। তবে কোথাও মিলবে না গণপরিবহন। শুধুমাত্র নিজস্ব পরিবহন ব্যবহার করেই চলাচল করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে পুলিশ সদর দফতরকে মৌখিকভাবে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এমন নির্দেশনা পাওয়ার পর পুলিশ সদর দফতর ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অন্তত দুজন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) একজন সহকারী কমিশনার (এসি) ও দুজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এ সংক্রান্ত তথ্য সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত লিখিতভাবে কোন নির্দেশনা না পেলেও মৌখিক ও এসএমএসের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদর দফতরের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, নিজস্ব পরিবহনে সাধারণ মানুষকে যাতায়াতের অনুমতি দিতে সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে। আমরাও বিষয়টি পুলিশ অফিসারদের জানিয়েছি। তবে জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত যেকোনো সময় পরিবর্তনও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় যদি বিষয়টি জনস্বার্থে কাজে আসে তবে বহাল থাকবে নয়তো বাতিলও হতে পারে।
জানা গেছে, পুলিশ সদর দফতর থেকে এমন নির্দেশনা পেয়ে ইতোমধ্যে রাজধানী থেকে বাহির ও প্রবেশ পথের যেসকল স্থানে যাতায়াত বন্ধে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছিল সেগুলো সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৭ এপ্রিল করোনারভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের মুখে জনসমাগম এড়াতে রাজধানী থেকে যাতায়াত বন্ধের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ডিএমপি। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয় ফেরি চলাচল। কিন্তু এমন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ গ্রামের পথে যাত্রা করতে গিয়ে মাঝ পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছিলেন। তাই বিষয়টিকে শিথিলতার দৃষ্টিতে দেখে নিজস্ব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি যাওয়ার এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।