পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় বন্ধ ফেরি চলাচল, ঘাটে যাত্রীদের ভাঙচুর
১৮ মে ২০২০ ১৭:১৭ | আপডেট: ১৮ মে ২০২০ ১৯:২৮
মানিকগঞ্জ: করোনা সংক্রমণরোধে ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে ঈদে বাড়ি ফিরছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজারও মানুষ। ফলে পাটুরিয়া ঘাটে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ। সোমবার (১৮ মে) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ক্ষুদে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ঘাট এলাকা। পরে দুপুরে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
তবে ফেরি বন্ধ করার পরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা হাজারো যাত্রী। এসময় তারা ফেরিঘাটের ৫ নম্বর কাউন্টার ভাঙচুর করে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এখনও দুই শতাধিক প্রাইভেটকার ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর উভয় ঘাটে থাকা ফেরিগুলোকে মাঝ নদীতে রাখা হয়েছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সিদ্ধান্ত হলে সেগুলো আবার ঘাটে আনা হবে।’
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও তা যাত্রী সাধারণকে কোনোভাবেই মানানো যাচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের গোলড়া এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়। জরুরি পণ্যবহনকারী গাড়ি ছাড়া সবধরণের গণপরিবহনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু এত চেষ্টার পরও মানুষ বিকল্প পথে পাটুরিয়া অভিমুখে বিভিন্ন গাড়িতে যাচ্ছিল। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় বিআইডব্লিউটিসিকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হয়।’
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় ১৫টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য ৫/৭ টি ফেরি চলাচল করছে। সকালে প্রাইভেটকার ও যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিলে চালক ও যাত্রীরা মিলে ঘাট এলাকার ৫ নম্বর কাউন্টারে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে ফেরিচলাচল সীমিতভাবে চালু করা হবে যাতে পচনশীল ও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করা যায়।