চিকিৎসায় ওয়ালটনের রোবট ও জীবাণুনাশক চেম্বার উদ্ভাবন
১৪ মে ২০২০ ১৮:১৪ | আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ০০:১৯
ঢাকা: করোনায় জীবাণুমক্ত থাকতে দেশীয় ইলেক্ট্রনিক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন মেডি-কার্ট রোবট এবং ডিসইনফ্যাক্টেড (জীবাণুনাশক) চেম্বার অ্যান্ড ল্যাম্প তৈরি করেছে। এরই মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য তা জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে ওয়ালটন মেডি-কার্ট রোবট রোগীর চিকিৎসা সেবায় দেশের হাসপাতালগুলোতে ব্যবহৃত হবে। আর ইউভি-সি অ্যান্ড থার্মাল রিমোর্ট কন্ট্রোলড ডিসইনফ্যাক্টেড চেম্বার অ্যান্ড ল্যাম্প বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিসপত্র জীবাণুনাশক করতে বাসাবাড়ি কিংবা হাসপাতালে ব্যবহার করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) এসব ডিভাইস ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য জমা দিতে এক ভাচুর্য়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন সংশ্লিষ্টরা জানান, ওয়ালটন মেডি কার্ট রোবটের মাধ্যমে রোগীর কাছে স্বয়ংক্রয়িভাবে ওষুধ ও খাবার পৌঁছে যাবে। এর সাহায্যে রোগীর কাছ থেকে স্যাম্পলও সংগ্রহ করা যাবে। এমনকি চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীকে রোগীর কাছে যেতে হবে না। রোবটটি ইন্টারনেট ও ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এছাড়া ইউভি-সি রিমোট কন্ট্রোলড ট্রলির মাধ্যমে রুম জীবাণুমুক্ত করা যাবে। ইউভিসি অ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যমে মোবাইল, ম্যানিব্যাগ, গড়িসহ আরও অনেক ব্যবহৃত জিনিসপত্র জীবাণুমক্ত করা যাবে। এটিতে ৮০ সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানো সম্ভব। আর করোনাভাইরাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় টিকে থাকতে পারে না।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সময়ে ওয়ালটন যে নতুন উদ্ভাবনগুলো উন্মোচন করেছে সেটি আমাদের জন্য গর্বের। আজ কিন্তু বাংলাদেশ সারাবিশ্বের কাছে অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। নিজস্ব উদ্ভাবন ও উৎপাদন দিয়ে আমরা কিন্তু স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হতে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হলো- দূরত্ব বজায় রেখে কার্যক্রম চালানো। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবায় যারা আছেন তাদের নিরাপদে রেখে আমাদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, মেডি-কার্ট রোবট, ইউভি-সি অ্যান্ড থার্মাল রিমোর্ট কন্ট্রোলড ডিসইনফ্যাক্টেড চেম্বার অ্যান্ড ল্যাম্প নামে যে সিস্টেম ওয়ালটন তৈরি করেছে, তাতে প্রমাণ হলো দেশের মেধীবা তরুণরা সব কিছুই করতে পারে।’