Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দূরের শপিং মল-মার্কেটে কেনাকাটা নয়, রাখতে হবে পরিচয়পত্র


৭ মে ২০২০ ২০:০৮ | আপডেট: ৮ মে ২০২০ ০২:২৮

ঢাকা: করোনাকালীন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন এলাকা সমূহে শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার ব্যাপারে ডিএমপি ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনা মেনে শপিং মল ও মার্কেট খুলতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য জানান।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ক্রেতাগণ তাঁদের নিজ নিজ এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলসমূহে ঘোষিত সময়ের মধ্যে কেনা-কাটা করতে পারবেন। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা বা গমনাগমন করতে পারবেন না।

বসবাসের এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ক্রেতা তার নিজ নিজ পরিচয়পত্র ( যেমন: ব্যক্তিগত আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা বিদ্যুৎ বা গ্যাস বা পানির বিলের মূল কপি ইত্যাদি) বহন করবেন এবং তা প্রবেশমুখে প্রদর্শন করবেন।

ডিএমপি থেকে বলা হয়েছে, সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার বা ফেরিওয়ালা বা অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেওয়া যাবে না।

প্রত্যেক শপিংমলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়াও প্রত্যেক দোকানে পৃথকভাবে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

প্রতিটি শপিং মলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরিধান ব্যতীত কোন ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবেন না। বিক্রেতা ও দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস্ পরিধান করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিটি শপিংমল বা বিপণি বিতানের সামনে সতর্কবাণী ‘স্বাস্থ্য বিধি না মানলে, মৃত্যু ঝুঁকি আছে’ সংবলিত ব্যানার টানাতে হবে।

প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশ, বাহির ও কেনাকাটার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাকে কমপক্ষে ১ মিটার (প্রায় ৪০ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে যতজন ক্রেতা অবস্থান করতে পারেন তার বেশি ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দোকানের সামনে দূরত্ব মেপে মার্কিং করতে হবে।

শপিংমল গুলোতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের (হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য) গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

কেনা-কাটা শেষে মার্কেটে অযথা জটলা বা ভিড় সৃষ্টি করা যাবে না। যাদের কেনাকাটা শেষ হয়ে যাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে তাদের বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। শপিংমলগুলোতে প্রবেশ ও বাহিরের আলাদা পথ নির্ধারণ করে দিতে হবে। যারা মাস্ক না পড়ে আসবে তারা মার্কেট থেকে কিনে নিবে অন্যথায় যাতে মার্কেটে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রত্যেক শপিংমলের পার্কিং লটে গাড়ি জীবানুমুক্তকরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়াও ড্রাইভাররা যাথে একত্রিত হয়ে আড্ডা না দেয় এবং নিজ নিজ গাড়িতে অবস্থান করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

শপিংমলগুলোতে যাতায়াতের জন্য সীমিত পরিসরে সাধারণ রিকশা ও সিএনজি চালু থাকবে। তবে সিএনজি-তে ২ (দুই) জনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে নিরুৎসাহিত করা হলো। প্রতিটি যাত্রী এবং চালক মাস্ক পরিধান করবেন। উল্লেখিত বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।

পবিত্র রমজান ও ঈদের কেনাকাটার সুবিধার্তে আগামী ১০ মে থেকে রাজধানীর বিপণি বিতান ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে এরইমধ্যে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমল ও যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে দোকান মালিক সমিতি।

বিজ্ঞাপন

ঈদ ঈদের কেনাকাটা টপ নিউজ দোকানপাট শপিংমল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর