Friday 03 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লকডাউনে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে শিশু নির্যাতন


৬ মে ২০২০ ১৬:১৮ | আপডেট: ৬ মে ২০২০ ২১:৫৯

ফাইল ছবি

করোনাকালে শুধু এপ্রিল মাসেই দেশের ২৭ জেলায় ৩৫ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যেখানে পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সারাদেশে ৪৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।

চলমান করোনা সংকটে নারী ও শিশুদের পরিস্থিতি জানতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের করা এক জরিপে এসব তথ্য উঠে আসে। এই জরিপে প্রকাশ পায়, ৪৫৬ শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার। যাদের মধ্যে ৪২৪ শিশু আগে কখনো নির্যাতনের শিকার হয়নি। এই শিশুদের মধ্যে শতকরা ৯২ জন বাবা-মা অথবা আত্মীয়দের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৬ এপ্রিল) ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপ জুমের মাধ্যমে এক ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এসব তথ্য দেন।

কনফারেন্সে তিনি বলেন, করোনাজনিত লকডাউন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নারী ও শিশুরা কেমন আছে তা জানতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) তার কর্ম এলাকার নারী ও শিশুদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে। তবে ঘরে আবদ্ধ থাকার কারণে শিশুদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া সহজ ছিল না।

এমজেএফের দুইটি প্রকল্পের ২৪ টি সহযোগী সংগঠন ২৭ জেলার ৫৮ উপজেলার ৬০২টি গ্রাম ও ৪ টি সিটি কর্পোরেশনের ৪২৪৯ জন শিশুর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে এপ্রিল মাসে সংঘটিত সহিংসতা ও নির্যাতনের এই ভয়াবহ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে।

এদের মধ্যে ৪২৪ শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ৩৩ টি এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৪২ টি। ৪ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১৬ জনকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়, অপহৃত হয়েছে ২ জন, যৌন হয়রানির শিকার ১০ জন এবং রিলিফ নেয়ার সময় ১০ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।

বিজ্ঞাপন

অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা এবং বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এবং করোনা পরিস্থিতিতেও নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য ‘ভার্চুয়াল কোর্ট অর্ডিন্যান্স’ দ্রুত মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের ব্যবস্থা করার সুপারিশ তুলে ধরা হয় এই সম্মেলনে।

নিরাপত্তা (সিকিউরিটি এন্ড রাইটস অব উম্যান এন্ড গার্লস) এবং সুইডিশ সিডার সহায়তায় জেন্ডারভিত্তিক বৈষম্য প্রতিরোধ (কমবেটিং জেন্ডার বেইসড ভায়োলেন্স) এবং এমজেএফ কর্তৃক পরিচালিত উক্ত কর্মসূচি দুটির আওতায় এই  জরিপটি করা হয়।

করোনা পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা ও অনান্য সহিংসতা প্রতিরোধ ও সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে ইউকেএইডের সহায়তায় নারী ও শিশু অধিকার ও এমজেএফ পুরো এপ্রিল মাসে সহিংসতার শিকার হওয়া ২২০২ জন নারী ও শিশুকে কাউন্সিলিং, আইনগত সহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে। ২০০০ নারী ও শিশু যারা নিয়মিত সহিংসতার ঝুঁকিতে রয়েছে, তাদের ফলোআপ করছে যেন আবার সহিংসতার শিকার না হয়। সহযোগী সংগঠনের সহায়তায় ১৪১ বাল্যবিবাহ নিরোধ করা হয়েছে।

এমজএফ টপ নিউজ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন শাহীন আনাম শিশু নির্যাতন

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর