সব কিছু খুলে দিলে রোগী বাড়বেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬ মে ২০২০ ০৪:১২ | আপডেট: ৬ মে ২০২০ ০৪:১৯
ঢাকা: গার্মেন্টস খোলা হয়েছে, দোকানপাটে আনাগোনা বাড়ছে। কাজেই সংক্রমণ যে একটু বৃদ্ধি পাবে, এটা আমরা ধরে নিতে পারি। এমন মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যানমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সব কিছু খুলে দিলে রোগী বাড়বেই। তবে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করবে যাতে রোগী না বাড়ে। আমাদের দায়িত্ব হল যাতে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পায়।
মঙ্গলবার (৫ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত টেকনিক্যাল কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমাদের সংক্রমণ কিছু বাড়ছে। গত ৮-১০ দিন ধরে দেখেছি চার থেকে পাঁচশ রোগী হত, কিন্তু এখন ছয়শ ছাড়িয়ে গেছে, আজ সাতশ ছাড়িয়েছে। তাও আমাদেরকে যতটুকু সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। জীবন ও জীবিকা দুটিই সঙ্গে সঙ্গে যাবে। কাজেই সেভাবেই কাজগুলো হবে।
তিনি বলেন, দেশব্যাপি চলমান লকডাউন খোলার ব্যাপারে ১৭ সদস্যের বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় করোনা টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে। একই সঙ্গে ঈদে শপিংমল, দোকান-পাট বন্ধ রাখা হবে কিনা সে ব্যাপারেও কমিটি সরকারকে জানাবে। দেশের এই উচ্চ শ্রেণির অভীজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে সরকার।
শপিং মল খোলার সিদ্ধান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টেকনিক্যাল কমিটি এই বিষয়টি সভায় তুলে ধরেছেন। কমিটি একটি প্রস্তাবনা দেবেন এবং সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ দেবেন। সেই পরামর্শটা আমরা যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেব।
এছাড়াও ঈদের ছুটির সময় লোকজনের যাওয়া-আসার বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটি মতামত দেবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সে লক্ষ্যে টেকনিক্যাল কমিটি পরামর্শ দিয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ রোগীদের নিয়ে যারা কাজ করছেন, যেমন চিকিৎসক নার্স ও অন্যান্য কাজ সম্পৃক্ত তাদের আরও উৎসাহিত করা যায় কীভাবে সে বিষয়েও তারা পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও কেন চিকিৎসকরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। টেকনিক্যাল কমিটির আলোচনায়ও এই বিষয়টি উঠে আসে। এই বিষয়ে মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং এটা একটা প্রসেসে আছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে এই কাজটি এগিয়ে নিতে পারব।