বন্যাপ্রবণ হাওর এলাকায় গ্রিন ডেল্টার শস্য বিমা চালু
৫ মে ২০২০ ১৬:০৮
ঢাকা: দেশের বন্যাপ্রবণ হাওর এলাকায় ফসলের ঝুঁকি নিরসনে সূচকভিত্তিক শস্য বিমা চালু করেছে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং অর্থমন্ত্রণালয়েল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তত্ত্বাবধানে এই শস্য বিমা চালু করা হয়েছে। এই বিমা চালুর ফলে বন্যাপ্রবণ হাওর এলাকায় আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকিগ্রস্থ কৃষকরা উপকৃত হবে। গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স থেকে মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও অক্সফাম বাংলাদেশ এবং সানক্রেড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরীক্ষামূলকভাবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর হাওর এলাকায় ৩১৬ জন কৃষককে সূচকভিত্তিক শস্য বিমার আওতায় আনা হয়েছে। হাওর এলাকায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিকে আর্থিক মূল্যে রূপান্তর করে গ্রিন ডেল্টা অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও নদীসৃষ্ট বন্যা হতে সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতি নিরসনে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে ২২ মে পর্যন্ত বিমা সুবিধাটি প্রদান করা হবে। এই বিমার আওতায় ফসলের ক্ষতি হলে বিমাকৃত কৃষক অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং বন্যার পানির উচ্চতা ও স্থায়ীত্বের ওপর নির্ভর করে বিমাদাবি পারেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নদীসৃষ্ট বন্যার ক্ষেত্রে ৬.৮ মিটারের বেশি পানি থাকলে এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে টানা ৩ দিনে ১২৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে সর্বোমোট ক্ষয়ক্ষতির ওপর স্থায়িত্বভেদে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিমাদাবি পাবেন। নদীসৃষ্ট বন্যার পানির উচ্চতা ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত পরিমাপের জন্য ওয়াটার লেভেল স্টেশন ও স্যাটেলাইট ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্কাইমেট ওয়েদার সার্ভিসেস লিমিটেড গ্রিন ডেল্টাকে এই সেবা প্রদান করবে।
এছাড়া গত বছরের আগস্ট মাসে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি অক্সফাম ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা এলাকায় ৭৫০ জন কৃষককে সূচকভিত্তিক শস্য বিমা প্রদান করে। এই সূচকভিত্তিক শস্য বিমা বন্যা থেকে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি নিরসনের মাধ্যমে হাওর এলাকার অসহায় কৃষকদের পরবর্তী দিনগুলোতে আশার আলো দেখাবে।