Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার দায়িত্ব অন্য দেশের ওপরও বর্তায়’


২৮ এপ্রিল ২০২০ ১৩:২৯ | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪৫

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন (ফাইল ছবি)

ঢাকা: ‘মানবিক কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে অনুরোধ করা হলেও এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশকে বলা হয় না। এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের ওপরও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার দায়িত্ব বর্তায়। মিয়ানমারে এখনও মিলিটারি অপারেশন চলছে এবং রোহিঙ্গারা মারা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও তারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। তারপরও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারে বিনিয়োগ করছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এ বিষয়ে সোচ্চার নয়।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠানো থেকে এক বার্তায় জানানো হয়েছে, সমুদ্রে নৌকায় ভাসমান রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমেদের ফোনে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এসব কথা বলেন।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সব দেশের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং সীমিত সম্পদ থাকার পর মানবিকতার পরিচয় দিয়ে এরই মধ্যে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। ৫০০ রোহিঙ্গা সে তুলনায় অতি সামান্য। তারা এখন বাংলাদেশ সীমানায় নেই। মানবিক কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে অনুরোধ করা হলেও এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশকে আশ্রয় দিতে বলা হয়নি।’

যুক্তরাজ্যের রয়েল জাহাজ এসেও তাদের উদ্ধার করে আশ্রয় দিতে পারে বলে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীকে বলেন ড. মোমেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের উচিত বাংলাদেশে অবস্থানরত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের‌ দেশে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দেওয়া। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের, বিশেষকরে উন্নত দেশগুলোর উচিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে এগিয়ে আসা।’

বাংলাদেশের বহুলোক মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে চাকুরি হারিয়ে খাবারের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীকে আহবান জানান।

ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাজ্যসহ উন্নত বিশ্বের উচিত মানবিক কারণে তাদের চাকুরিতে বহাল রাখার বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।’ যুক্তরাজ্যের ক্রেতারা যাতে পোশাক খাতে বাংলাদেশে ক্রয়াদেশ বাতিল না করেন সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের পোশাক খাত সমস্যায় পড়েছে। এ বিষয়ে ড. মোমেন বাংলাদেশের পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বজায় রাখার জন্য যুক্তরাজ্যকে বিশেষ ফান্ড গঠনের অনুরোধ করেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যকে করোনা প্রতিরোধে উপহার হিসেবে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন লর্ড আহমেদকে এ সময় অবহিত করেন। এর জবাবে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী ড. মোমেনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

আশ্রয় ড. এ কে আবদুল মোমেন দায়িত্ব পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তায় যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর