‘একজন মানুষও যেন অনাহারে না থাকে, এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার’
২৬ এপ্রিল ২০২০ ১৭:২১ | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ১৭:২৩
ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা পরিস্থিতিতে একজন মানুষও যেন অনাহারে না থাকে, এ লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও সারাদেশে দরিদ্র মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে।
রোববার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে অনলাইনে গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ ছুটি বৃদ্ধি করে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এ ছুটি চলাকালীনও যেহেতু জরুরি সেবা আমাদের দিতে হয়, সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতর যেমন তথ্য অধিদফতর, গণযোগাযোগ অধিদফতর, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন চালু ছিল। সে কারণে আমাদের কর্মকর্তাদের সীমিত আকারে অফিস করতে হয়েছে। সম্প্রতি সরকার জরুরি বিভিন্ন বিভাগ এবং মন্ত্রণালয়, যেগুলো সবার সাথে যুক্ত সেগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের নানা সহায়তা কর্মসূচির আওতার মধ্যে আছে এবং সহায়তা পাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ভিজিডির মাধ্যমে ১০ লক্ষ ৪০ হাজার পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা মূল্যে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সাড়ে ১২ লাখ পরিবার ওএমএসের মাধ্যমে সহায়তা পাচ্ছে। মৎস্য ভিজিএফ এ মাসে আগামী মাসে ৩ লাখ পরিবার মৎস্য ভিজিএফ পাবে। এর বাইরে জেলা প্রশাসন শাক-সবজি, দুধ কিনে জনগণের মধ্যে বিতরণ করছে।’
এ বিশেষ পরিস্থিতির কারণে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত গতকাল পর্যন্ত ১ লক্ষ ১৫ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৪৯ কোটি টাকা ও শিশুখাদ্যের জন্য বিশেষ নগদ অর্থ ১১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, জানান ড. হাছান মাহমুদ।
এছাড়াও বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতাসহ নানাবিধ ভাতার মাধ্যমে দেশের আরও প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি লোক নানাধরণের সহায়তা পাচ্ছে। অর্থাৎ দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের এই সহায়তার আওতার মধ্যে রয়েছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।