সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কিট হস্তান্তর করল গণস্বাস্থ্য
২৫ এপ্রিল ২০২০ ১১:৫০ | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৫৭
ঢাকা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ সংক্রমণ নির্ণয়ক জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট সরকারের চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ‘গেরিলা কমান্ডার মেজর এ টি এম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে’ মার্কিন সিভিসি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধির কাছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা এ কিট হস্তান্তর করেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কিট উদ্ভাবনের প্রধান গবেষক গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল, গবেষণা দলের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকারসহ অন্যান্য গবেষক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি উপস্থিত না হওয়ায় আগামীকাল তাদের কাছে এ কিট পৌঁছে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কিট পরীক্ষা ও মতামতের জন্য নমুনা প্রদান করা হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আশা করছি সরকার এ কিট যাচাই বাছাই করে খুব দ্রুত অনুমোদন দেবে। অনুমোদন প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন শুরু করবো। পর্যায়ক্রমে এক লাখ কিট দেওয়া সম্ভব হবে।’
প্রস্তুত করা কিট পরীক্ষায় সফল দাবি করে গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘এন্টিবডি ও এন্টিজেন এ দুটির সমন্বয় করে কিট তৈরি করা হয়েছে। এটি পাঁচ মিনিটের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে করোনা রোগী শনাক্ত করতে পারবে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে এই কিট উদ্ভাবন করেন একদল বিজ্ঞানী।
২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে অন্য গবেষকরা হলেন ড.ফিরোজ আহমেদ, ড. নিহাদ আদনান, ড. মো. রাইদ জমিরুদ্দিন, ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।