Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ১১শ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন


২০ এপ্রিল ২০২০ ২২:১৪ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ০৯:৪৩

ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশেও। বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সংক্রামক এই ভাইরাস মোকাবিলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা হয়েছে সপ্তাহ চারেক আগে। জনজীবনসহ অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করেছে এর প্রভাব। সেই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ। এবারে করোনাভাইরাস মোকাবিলা এবং মহামারি পরিস্থিতির প্রস্তুতি নিয়ে বিশেষ একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। করোনা মহামারির মধ্যেই জরুরিভিত্তিতে প্রণয়ন করা ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকার প্রকল্পটির অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গেই বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ এপ্রিল) ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ শীর্ষক এই বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সুবিধা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি করোনা হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা হবে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সংক্রান্ত সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের ৮৫০ কোটি  খরচ করা হবে বিশ্বব্যাংকের ঋণ থেকে। বাকি ২৭৭ কোটি টাকা খরচ হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

পরিকল্পনা কমিশন বলছে, অনুমোদন পাওয়ার পরপরই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ রাখা হয়েছে প্রকল্পটির। তবে দেড় বছরের মধ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যায় কি না, সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আবুল কামাল আজাদ সোমবার সারাবাংলাকে  বলেন, ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস’ নামের প্রকল্পটির প্রক্রিয়াকরণ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার। ওই দিনই অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয় প্রকল্পটি। যেহেতু জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক স্থগিত রয়েছে, তাই জরুরি বিবেচনায় অনুমোদনের জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। রোববার সেটি অনুমোদন দিয়েছেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কামাল আজাদ বলেন, করোনার প্রভাব ঠেকাতে খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ ছুটি থাকায় অফিস বন্ধ থাকলেও এর মাঝেই সব কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। আর বলতে গেলে এখন থেকেই এটির বাস্তবায়ন শুরু হয়ে যাচ্ছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে ১০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা) অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক বোর্ড। এ টাকার পুরোটাই করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ মোকাবিলার বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ করা হবে। বিশ্বব্যাংক বোর্ডের ১৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ফাস্ট ট্র্যাক সহায়তা তহবিল থেকে বাংলাদেশকে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। সহজ শর্তের এই ঋণের সুদের হার পড়বে সব মিলিয়ে ২ শতাংশ। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (রেয়াতকাল) ৩০ বছরের এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।

করোনা মোকাবিলা করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ জরুরিভিত্তিতে প্রণয়ন করা প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প অনুমোদন বিশেষ প্রকল্প বিশ্বব্যাংক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর