Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

একেকজন সচিব একেকটি জেলার দায়িত্বে


২০ এপ্রিল ২০২০ ১০:৫২ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ১১:০৩

ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সীমিত করে সচিবদের বিভিন্ন জেলার ত্রাণ বিতরণসহ সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরাও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এই জেলাগুলো হলো— ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- প্রণোদনা থেকে কোনো খাত বাদ পড়বে না: প্রধানমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো সময় দুর্যোগ আসতে পারে। তবে দুর্যোগ এলে মনোবল না হারিয়ে উপযুক্ত কৌশলের মাধ্যমে সাহস নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে যারা দিনমজুর বা প্রতিদিনের উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল, তাদের ঘরে খাবারের অভাব রয়েছে। কিন্তু সরকার সামাজিক সুরক্ষার আওতায় তাদের প্রত্যেকের ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। আমাদের ভিজিডি, ভিজিএফ, টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। ১০ টাকা কেজি দরের ওএমএস চাল বিক্রি করা হচ্ছে অভাবীদের জন্য। মোট কথা, আমরা সব উপায়ে নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে সহায়তা পৌঁছাব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৫০ লাখ রেশন কার্ড দেওয়া আছে। আমরা আরও ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। মোট এক কোটি মানুষ রেশন কার্ডের আওতায় আসবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- রোজায় খাদ্য সরবরাহে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য এসব সহায়তা সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কি না, সে বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এখন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সীমিত। আমি আমাদের একেকজন সচিবকে একেকটি জেলা মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছি। জেলাগুলোতে সঠিকভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে কি না, অভাবী মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছাচ্ছে কি না, তারা সেটি দেখবেন এবং আমার কাছে রিপোর্ট করবেন।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া আমাদের আওয়ামী লীগের নেতারা রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে আমি নির্দেশ দিয়েছি, সবাই দেখবেন কোনো মানুষ যেন খাবারের অভাবে কষ্ট না পায়। আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আছে, তারা এর আগে ধান কাটতেও কৃষকদের সহায়তা করেছে। তারাও এখন কাজ করছে।

গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাসহ অন্যরা উপস্থিত আছেন।

ফাইল ছবি

টপ নিউজ ত্রাণ বিতরণ মনিটরিং

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর