Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘খামারিদের ক্ষতি মোকাবিলায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে’


১৯ এপ্রিল ২০২০ ২২:১০ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২২:১৬

ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা এবং খামারিদের আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি এক বছরের জন্য মাফ করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। একই সঙ্গে ওই ঋণের সুদ মাফ করে ২ হাজার কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা দিয়ে বিনা সুদে ও সহজ শর্তে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের জন্যও অর্থ মন্ত্রণালয়কে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, ‘দেশের পোল্ট্রি ও ডেইরিখাতের জন্য প্রায় একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক মূল্যের পোল্ট্রি ও ডেইরি খাদ্য, দুধের ক্রিম সেপারেটর মেশিন, কুলিং ভ্যান ও জীবাণুনাশক স্প্রে ক্রয়সহ নগদ প্রণোদনার জন্য বিশ্বব্যাংকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’

‘করোনা সংকটে কোনোভাবেই মুরগির বাচ্চা, মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য, ভ্যাকসিন উৎপাদন, পরিবহণ ও আমদানিতে ঘাটতি রাখা যাবে না। চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের পোণা উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন স্বাভাবিক রাখতে হবে’, বলেন মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা, খামারি, রফতানিকারক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারি সহায়তায় আওতায় আনা হবেন বলেও আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর-অধিদফতরের জেলা-উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে কোনভাবেই গাফিলতি সহ্য করা হবে না বলেও সতর্ক করেন মন্ত্রী।

করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি সংকট মোকাবিলায় আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে একটি নীতিমালা প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদও দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও দফতর সংস্থার চলমান কার্যক্রম গতিশীল রাখা এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী প্যাকেজ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। শুধু সাময়িক সংকটের জন্য নয়, ভবিষ্যতে যাতে এমন কোনো দুর্যোগের কারণে এ খাত না পরে সেদিকে খেয়াল রেখে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও শ্যামল কর্মকার, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. নাথুরাম সরকারসহ মৎস্য অধিদফতর এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আর্থিক ক্ষতি খামারি মৎস চাষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর