এখনো পিপিই পাননি ২৫ শতাংশ চিকিৎসক
১৮ এপ্রিল ২০২০ ২১:৪৫ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২০ ০৭:৩৩
ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ২৫ শতাংশ চিকিৎসক এখনো পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুপমেন্ট বা পিপিই পাননি। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের এক জরিপ থেকে আরও জানা গেছে, পিপিই না পাওয়ার তালিকায় ৬০ শতাংশ নার্সও রয়েছেন।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে।
গবেষণা ফলাফলে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া পিপিই-এর মান ও কার্যকারিতা যথেষ্ট নয়। এসব পিপিই পরিধান, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন চিকিৎসকরা জানেন। বেশিরভাগ নার্স পিপিই ব্যবহারের প্রশিক্ষণও পাননি।
এই গবেষণায় ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ১৪টি জেলার ৪৩টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৬০ জন চিকিৎসক ও নার্স টেলিফোনে এই জরিপে অংশ নেন। জরিপটি পরিচালনা করেন বুশরা জেরিন ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে শনিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সরাসরি যারা করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন তাদের ৭৫ ভাগ চিকিৎসক এবং ৪০ শতাংশ নার্স পিপিই পেয়েছেন। বাকিদেরকে এটি ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে। যেসব পিপিই দেওয়া হয়েছে সেসবের মানও যথেষ্ট নয়। তারপরে আবার এসব পিপিই একাধিকবার ব্যবহার করতে হচ্ছে।
করোনাভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর অন্য একটি জরিপ থেকে জানা যায়, মাত্র ৩৮ শতাংশ ব্যক্তি তিন ফুট দূরত্ব মানার নিয়মটি জানেন ও ১৬ শতাংশ ব্যক্তি হাঁচি কাশি কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে দেন।
এই জরিপটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অতনু রাব্বানী ও বাছেরা আক্তার।
অতনু রাব্বানী বলেন, জরিপে ৩৭ ভাগ গৃহস্থালিতে কেবল ভাত, ডাল ও আলু খেয়ে জীবনধারণ করছেন। তাদের মাঝে অধিক মানসিক চাপও লক্ষ্য করা গেছে।