যার ঘরে খাবার নেই, তার ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
১৬ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৩৪
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাজ করি জনগণের জন্য। কে কোন দল করল, কে আমার পক্ষে, কে আমার পক্ষে না, কে আমার ভোটার, কে আমার ভোটার না; সেটা দেখার দরকার নাই। যার অবস্থা খারাপ যার ঘরে খাবার নাই, তার ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। আমি চাই আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মী সেই মানসিকতা নিয়ে কাজ করবে এবং সেইভাবেই তালিকা করবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) গণভবনে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সমন্বয় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
সূচনা বক্তব্য শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংযুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর একে একে ঢাকা বিভাগের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ওগোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকদের কার্যালয়ে সংযুক্ত হয়েভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে। এ জন্য চাইছি আমাদের যারা আছে সংগঠনের প্রত্যেককে একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কমিটি করে দিতে হবে। কারণ যারা সত্যিকার…এখানে কিন্তু ওই যে আমার ভোটার বা আমাকে ভোট দেয় তার নাম সেটা না, এখানে সাধারণ জনগণ। সাধারণ জনগণ যারা এখন দুঃস্থ। যারা অসুবিধায় আছে। তাদের নামের তালিকা করতে হবে। আমি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবেই বলতে চাই। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাজ করি জনগণের জন্য কে কোন দল করল, কে আমার পক্ষে, কে আমার পক্ষে না, কে আমার ভোটার, কে আমার ভোটার না; সেটা দেখার দরকার নাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যার অবস্থা খারাপ বা দুস্থ বা যার ঘরে খাবার নেই। তার ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। আমি চাই আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মী সেই মানসিকতা নিয়ে কাজ করবে আর সেভাবেই তালিকা করবে।’ এ কথা আমি সবাইকে এখান থেকে এর মাধ্যমে এই ম্যাসেজটা পৌঁছাতে চাই।
গতকাল সারাদেশে দলীয় নির্দেশনা পৌঁছে দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ এরইমধ্যে আামদের নির্দেশ চলে গেছে যে, সব জায়গায় কমিটি করে, এটি প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য। যাতে করে সঠিক নামটা আসে। নইলে অনেক সময় দেখা যায়, নির্বাচিত প্রতিনিধি বা তারা ওই তাদের কয়েকজন বাচাই করা লোককে দিল বা কমিশনার তার ভোটারদের দিল। কে বাদ পড়ল? এই বাদটা যেন না পড়ে এবং প্রশাসনে যারা কাজ করবেন, বা ত্রাণ মন্ত্রণালয় পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা তারাও এটি নজরদারিতে রাখবেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি মানুষও যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়। আল্লাহর রহমতে প্রচুর খাবার আছে। তাছাড়াও আমাদের আবার ধান কাটার সময় হয়ে গেছে। প্রচুর আলু হচ্ছে। ওষুধপত্র কোনোছুর অভাব নেই। অভাব থাকবে না। আমরা সেটির ব্যবস্থা করব।’
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মতবিনিময় শেষে সমাপনী বক্তব্যে বলেন, আশা করি আমরা এই করোনাভাইরাস থেকে নিশ্চয়ই আমরা মুক্ত হতে পারব। আর যেন রোগী না বাড়ে সেদিকে আমাদের সুরক্ষিত থাকতে হবে।
গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। এ ছাড়াও গণভবন প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
করোনা মোকাবিলা করোনাভাইরাস টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স শেখ হাসিনা