করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উন্নয়নশীল ৮ দেশকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ
১৩ এপ্রিল ২০২০ ১৭:১৭ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ১৭:১৮
ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে উন্নয়নশীল আট দেশের জোট বা ডি-এইট রাষ্ট্রগুলো কিভাবে অভিজ্ঞতা এবং নিজেদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বিনিময় করতে পারে, তা নিরূপণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামী ১৬ এপ্রিল দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাসহ বৈশ্বিক একাধিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অনলাইনে বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার (১৩ এপ্রিল) এক বার্তায় জানান হয়, ভৌগোলিকভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডি-এইটের আটটি দেশ চলমান মহামারিবিরোধী লড়াইয়ের জন্য নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা এবং সংহতির প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছে। যাতে নিজেদের মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলন এবং সহযোাগিতা ভাগাভাগি করে কষ্ট কমিয়ে আনতে পারে। আসন্ন অনলাইন বৈঠকটি থেকে এই দেশগুলো নিজেদের দেশের মধ্যে বা উন্নত দেশগুলো থেকে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য-উদ্ভাবন সংক্রান্ত অভিজ্ঞতাগুলো ভাগ করে নেওয়ার উপায়ও খুঁজে পাবে। পাশাপাশি করোনায় স্বাস্থ্য ও আর্থ-সামাজিক প্রভাব কী পরিমাণ হতে পারে তা নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
ডি-এইট রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আসন্ন বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এরই মধ্যে এই জোটের চেয়ারম্যান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এই সময়ে সকলে মিলিতভাবে কিভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়, সে বিষয়ে আমাদের কাজ করা প্রয়োজন। আমরা সকলে একসঙ্গে বসলে এই সংকট কাটাতে পথ বেরিয়ে আসবে।’
আগামী মে মাসে ঢাকায় আঞ্চলিক এই জোটটির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এই বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিতে লিখেন, চলমান সংকটের কারণে আগামী মে মাসের শীর্ষ সম্মেলনটি স্থগিত করার প্রস্তাব করছি।
উন্নয়নশীল আট দেশের জোট বা ডি-এইট রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক। এই জোটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।