কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও করোনা চিকিৎসায় অপারগতা, ৬ চিকিৎসক বরখাস্ত
১১ এপ্রিল ২০২০ ২১:৪৭
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ ও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ছয়জন চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ছয় চিকিৎসককে রাজধানীর কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড করা হয়েছিল।
শনিবার (১১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক(প্রশাসন) ডা. মো. বেলাল হোসেনের সই করা আলাদা দুটি আদেশে এই ছয় চিকিৎসকের সাময়িক বরখাস্তের কথা জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের টেলিফোনিক নির্দেশে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর ধারা ১২ মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
অনুপস্থিতি থাকার কারণে সাময়িক বরখাস্ত চিকিৎসকরা হলেন- জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হীরস্ব চন্দ্র রায়, মেডিকেল অফিসার ডা. ডারহানা হাসনাত, মেডিকেল অফিসার ডা. উর্মি পারভিন, মেডিকেল অফিসার ডা. কাওসার উল্লাহ।
অপর এক আদেশে বলা হয়, রোগীদের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে অনিচ্ছা প্রকাশ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের টেলিফোনিক নির্দেশে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ১২ মোতাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শারমিন হোসেন এবং আবাসিক চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ ফজলুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আদেশে আরও বলা হয়, এই আদেশে মহাপরিচালকের অনুমোদন রয়েছে এবং এই আদেশ জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী দেখতে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় দুজন ও পদায়নের পরবর্তী সময়ে যোগদান না করায় চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালককে চিঠি দিয়ে জানান যে, এই ছয় চিকিৎসক কোভিড-১৯ কেন্দ্রে সেবা প্রদান করছেন না। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন, যিনি ইস্তফাপত্র দিয়েছেন।
এছাড়া চিকিৎসক, নার্স, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা/কর্মচারিদের পদায়ন হওয়ার পরও অনেকেই যোগদান করেননি বলেও চিঠিতে জানানো হয়।
৬ চিকিৎসক কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল টপ নিউজ সাময়িক বরখাস্ত